দেশে ক্রমেই বাড়ছে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ। গত ২৪ ঘণ্টায় এ ভাইরাস মিলেছে আরও দুই হাজার ২৭৫ জনের দেহে। ফলে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ৫৪ জন। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ৯২৮ জনে।
রোববার (২৬ জুলাই) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের করোনাভাইরাস বিষয়ক বুলেটিনে এ তথ্য জানান অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।
তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ৪৪১টি নমুনা সংগ্রহ এবং ১০ হাজার ৭৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১১ লাখ ১১ হাজার ৫৫৮টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ২৭৫ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ২৩ হাজার ৪৫৩ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৫৪ জনের। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মারা গেলেন দুই হাজার ৯২৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৭৯৯ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ২৩ হাজার ৮৮২ জনে।
গতকালের তথ্য
গতকাল শনিবারের (২৫ জুলাই) বুলেটিনে জানানো হয়, করোনাভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩৮ জন মারা গেছেন। ১০ হাজার ৪৪৬টি নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় আরও দুই হাজার ৫২০ জনের দেহে। সে হিসাবে আগের ২৪ ঘণ্টার তুলনায় গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত রোগীর সংখ্যা কমলেও লাফিয়ে বেড়েছে মৃত্যু। দেশে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড আছে ৬৪ জনের। সে তথ্য জানানো হয়, ৩০ জুনের বুলেটিনে। সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড চার হাজার ১৯ জনের, যা জানানো হয় ২ জুলাইয়ের বুলেটিনে।
শনাক্ত, সুস্থতা ও মৃত্যুর হার
রোববারের বুলেটিনে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার তুলনায় রোগী শনাক্তের হার ২০ দশমিক ১০ শতাংশ। আর রোগী শনাক্ত তুলনায় সুস্থতার হার ৫৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৩১ শতাংশ।
করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত ও সুস্থ থাকতে বরাবরের মতো সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানানো হয় বুলেটিনে।
বৈশ্বিক পরিস্থিতি
গোটা বিশ্বকে এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত করেছে করোনাভাইরাস। গত ডিসেম্বরে চীনের উহান শহর থেকে ছড়ানোর পর বিশ্বজুড়ে এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এখন এক কোটি ৬২ লাখ ছাড়িয়েছে। মৃতের সংখ্যা ছয় লাখ ৪৮ হাজারের বেশি। তবে সুস্থ রোগীর সংখ্যা এক কোটি ছুঁই ছুঁই। বাংলাদেশে করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। আর এতে প্রথম মৃত্যু হয় ১৮ মার্চ।