#

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিন সেনাবাহিনীর টহলে ফাঁকা বরিশালের প্রধান প্রধান সড়ক।

প্রথম দিন কিছুটা ঢিলেঢালাভাবে বিধিনিষেধ চললেও শনিবার (২৪ জুলাই) সকাল থেকেই কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

সড়কে রিকশা ও মোটরসাইকেল ছাড়া আর কোনো যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়নি। নগরীতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরাও টহল দিচ্ছেন।

জেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, নগরীতে সেনাবাহিনীর দুটি টিম বিধিনিষেধ কার্যকরে কাজ করছে।

নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট নথুল্লাবাদ ও রূপাতলী বাস টার্মিনাল, সদর রোড, বাংলাবাজার, নতুন বাজার, সাগরদি, চৌমাথা গড়িয়ার পাড়, কর্ণকাঠি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ।

সড়কে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পড়তে হচ্ছে। জবাব সন্তোষজনক হলে চেকপোস্ট অতিক্রম করতে দিচ্ছে পুলিশ। না হলে চেকপোস্ট থেকে ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে নগরীর পোর্টরোড রসুলপুর মৎস অবতরণ কেন্দ্র, রূপাতলী হাউজিং বাজার ও চৌমাথা ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতা-বিক্রেতাদের কারও মধ্যেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার প্রবণতা নেই।

টহল গাড়ির খবর পেলে মাস্ক মুখে পরলেও মানুষজনকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে দেখা যায়নি বাজারে।

অন্যদিকে বিধিনিষেধ কার্যকরে নগরীতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট জাবেদ হোসেন চৌধুরী, লাকি দাস ও রয়া ত্রিপুরা পৃথক তিনটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন।

ইতোমধ্যে বিধিনিষেধ অমান্য করায় অনামি লেন, ফকির বাড়ি রোড, রূপাতলী ও নথুল্লাবাদে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জাবেদ হোসেন চৌধুরী জানান, মানুষকে সচেতন করতে এবং বিধিনিষেধ কার্যকরে অভিযান চালানো হচ্ছে।

পর্যায়ক্রমে বিধিনিষেধ আরও কঠোর করা হবে। করোনা প্রতিরোধে ঘরে থাকার বিকল্প নেই।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন