রাজধানীর গাবতলী গরুর হাটে এবার বড় আকৃতির উট আনা হয়েছে। উটের মালিক উটটির দাম হাঁকছেন ১৬ লাখ টাকা। এ পর্যন্ত ১২-১৩ লাখ টাকা দাম উঠেছে। ১৪ লাখ হলে বিক্রি করবেন তিনি।
উটটির মালিক খলিলুর রহমান বলেন, উটটি ১৪ লাখ টাকায় বিক্রি হলেও লস হবে। কেননা এটি প্রায় ৯ মাস ধরে গাবতলী হাটেই পালন করছেন তিনি। প্রতিদিন খাওয়া বাবদ ৫০০ টাকা ব্যয় হয় এর পেছনে।
খলিলুর রহমান ও তার ভাই আমজাদ হোসেন মিলে ব্যবসা করেন। তারা ভারত থেকে উট, দুম্বা এনে বাংলাদেশে বিক্রি করেন। গত বছরও তারা এই হাটে তিনটি উট বিক্রি করেছেন। উটগুলো পাকিস্তান থেকে ভারত হয়ে বাংলাদেশে আনা হয়েছিল। এই উটটির বয়স ছয় বছর। প্রায় ১৫ মণ মাংস হবে বলে জানান তিনি।
এক প্রশ্নের জবাবে খলিল বলেন, উট কেনার জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে গাবতলী হাট ১৪ নম্বর ডগা হোটেলের সামনে এলেই আমাকে অথবা আমার ভাইকে পাওয়া যাবে। তিনি বলেন, আর মাত্র এক লাখ টাকা পূরণ হলেই উটটি বিক্রি করে দেব।
খলিলুর রহমান বলেন, এবারও তারা কিছু উট আনতে চেয়েছিলেন। কিন্তু করোনার কারণে আনা সম্ভব হয়নি।
গাবতলী গরুর হাটে এখন অনেক গরু আসছে। প্রতিদিন ট্রাকের পর ট্রাক, গরু, মহিষ, ভেড়া, ছাগলসহ কোরবানির পশু হাটে আসছে। গরুর ব্যাপারীরা বলছেন, হাটে পর্যাপ্ত পশু থাকলেও তেমন বেচাকেনা নেই। এখন পর্যন্ত হাট ক্রেতাশূন্য। আগামী মঙ্গলবার থেকে সাধারণ মানুষ পশু কেনার জন্য গাবতলী হাটে আসবেন এবং তখন থেকে বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন ব্যাপারীরা।