আরব বসন্তের পর সম্পর্কের টানাপোড়েনে ১৩ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে তুরস্ক। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) কায়রোতে অনুষ্ঠেয় আরব লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পরিষদের বৈঠকে যোগ দেবেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদান।
তুরস্কের একটি কূটনৈতিক সূত্র সোমবার রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছে।
তুরস্কের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তব্য রাখবেন বলে আশা করা হচ্ছে। তুরস্ক-আরব লীগ সম্পর্ক এবং আঞ্চলিক বিষয়, বিশেষ করে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে আলোকপাত করবেন তিনি।
মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরবের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সম্পর্কের টানাপোড়েন মিটিয়ে ফেললেও সিরিয়াসহ আরব লীগের অন্য সদস্যদের সঙ্গে আঙ্কারার মতবিরোধ রয়ে গেছে। গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তুরস্ক যুদ্ধের অবসানের জন্য আরব লীগ এবং ইসলামী সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) শীর্ষ সম্মেলনে গঠিত একটি যৌথ গ্রুপে যোগ দেয়।
তুর্কি সূত্র জানিয়েছে, আরব লীগের শীর্ষ সম্মেলনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাকান ফিদানকে আমন্ত্রণ জানানো তুরস্কের আঞ্চলিক ভূমিকা এবং আরব লীগের সদস্যদের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের প্রতি ‘ক্রমবর্ধমান আগ্রহ’কে প্রতিফলিত করে। আঙ্কারাও তাদের সঙ্গে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক ও সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে চায়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছে, আরব লীগের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক ‘বর্তমান আঞ্চলিক সমস্যার সমাধান এবং ভবিষ্যতের দৃঢ় সহযোগিতা’ জোরদারে সহায়ক হতে পারে।
চলতি বছরের শেষ নাগাদ একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি নিশ্চিত করতে আঙ্কারা ও উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদের (জিসিসি) মধ্যে আলোচনা চলছে। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান ইসরাইলের ‘সম্প্রসারণবাদের’ হুমকির বিরুদ্ধে ইসলামি দেশগুলোর জোট গঠনের আহ্বানও জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ‘আরব বসন্ত’র সময় আঙ্কারা ও তার বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক প্রতিবেশী আরব লীগের ‘মতবিরুদ্ধ’ পক্ষে অবস্থান নেয়। যার ফলে সৌদি আরব, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সিরিয়া এবং মিশরের মতো দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স, আনাদোলু এজেন্সি