কিশোরগঞ্জে ছয় বছরের মেয়ে রৌজাকে নিয়ে হাসপাতালে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন বেবী আক্তার (৩২) নামে এক গৃহবধূ। গত ১১ দিনেও ওই গৃহবধূ ও তার মেয়ের কোনো খোঁজ পায়নি পরিবার।
এদিকে স্ত্রী ও শিশু সন্তানকে খুঁজে না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন বেবীর স্বামী মাড়াইকল শ্রমিক আব্দুর রহিম। স্ত্রী আর মেয়ের ছবি নিয়ে ঘুরছেন এখানে-সেখানে। তারা কোনো পাচারকারী চক্রের খপ্পড়ে পড়েছে বলে আশঙ্কা আব্দুর রহিমের।
জানা গেছে, জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের গাংগাইল গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে আব্দুর রহিম শহরের একটি মাড়াইকলে শ্রমিকের কাজ করেন। গত ২৮ জুন মেয়ে রৌজাকে নিয়ে বাড়ি থেকে কিশোরগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলারেল হাসপাতালে ডাক্তারের কাছে যান রহিমের স্ত্রী বেবী আক্তার। ওইদিন বেলা ১১টার দিকে তাকে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে দেখেছেন তার এক আত্মীয়। কিন্তু এরপর থেকেই রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন বেবী ও তার মেয়ে রৌজা। পরিবারের লোকজন বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তাদের কোনো সন্ধান পাচ্ছে না। আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে খোঁজখবর নিয়ে তাদের না পাওয়ায় গত ৪ জুন কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি করা হয়।
আব্দুর রহিমের অভিযোগ, কিশোরগঞ্জ থানায় জিডি করা হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। তাই স্ত্রী-সন্তানের খোঁজে পাগলপ্রায় তিনি।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুশামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, এ নিয়ে মিসিং জিডি হয়েছে। বিষয়টি দেখার জন্য থানার এসআই মাজহারুল ইসলামকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাজহারুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বাদীর কাছ থেকে জানতে পেরেছি তার স্ত্রী-সন্তান নিখোঁজ হওয়ার পর তার কাছে তিনটি নাম্বার থেকে একাধিকবার ফোন করা হয়েছে। কিন্তু জিডিতে এ বিষয়টি উল্লেখ করেননি। আমি এসপি স্যারের সঙ্গে কথা বলে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।