বিশ্বকাপ দল থেকে বাদ পড়ার কথা ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ভাবেননি বলেই দলে নাম দেখতে না পেয়ে হতাশা প্রকাশ করেছিলেন।
বুধবার দল ঘোষণার আগের রাতে মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে রাজধানীর একটি হোটেলে আলোচনায় বসেছিলেন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন এবং বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস। আলোচনায় জালাল ইউনুসই টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্ত মাহমুদউল্লাহকে জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে কিছুটা হতাশ দেখা গেলেও মাহমুদউল্লাহ পুরো বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন। সেখানে এই ফরম্যাট থেকে তাকে আনুষ্ঠানিক অবসরের প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ সেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে জানিয়েছেন, অন্তত আরও দুই বছর টি-টোয়েন্টি খেলা চালিয়ে যেতে চান। এছাড়া ওয়ানডে ক্রিকেট তার প্রথম অগ্রাধিকার।
পারফরম্যান্সে নেই বলেই মাহমুদউল্লাহ দল থেকে বাদ পড়েছেন। সাবেক অধিনায়ক ইঙ্গিত দিয়েছেন, পারফর্ম করেই আবার ফিরে আসবেন। এদিকে বাদ পড়া নিয়ে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনও কথা বলতে রাজি হননি। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে তার কাছের মানুষজনের থেকে জানা গেছে, টিম ম্যানেজমেন্টের সিদ্ধান্তে বিমর্ষ নন মাহমুদউল্লাহ। ইতিবাচক মানসিকতায় সামনের পথচলা কিছুদিনের মধ্যেই নির্ধারণ করবেন।
শ্রীরাম নিজে প্রত্যেকের সঙ্গে আলাদাভাবে বসে কথা বলে তাদের বুঝিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহও ছিলেন তাদের মধ্যে একজন। তবে দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলা এই ক্রিকেটারকে বুঝানোর কাজটা সহজ ছিল না। এমন কথা বলতে দ্বিধা করেননি শ্রীরাম, ‘এই আলোচনাটা মোটেও সহজ হওয়ার কথা নয়। বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি খেলেছে সে। তার প্রতি আমার সর্বোচ্চ সম্মান রয়েছে। এই আলোচনায় আমি নিশ্চিতভাবেই ব্যাডম্যান হিসেবেই ছিলাম। তবুও বলছি, আলোচনা সফল হয়েছে।’