হাতুড়িপেটার ৩ দিন পর মারা গেলেন জুয়েল

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

নড়াইল সদর উপজেলায় মাথায় হাতুড়িপেটার তিন দিন পর জুয়েল ভূঁইয়া (১৮) নামের এক শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (১৩ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জুয়েল নড়াইল উপজেলার বাঁশগ্রাম ইউনিয়নের কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের পান্নু ভূঁইয়ার ছেলে।

জুয়েলের চাচাতো ভাই আল আমিন বলেন, ‘কর্মচন্দ্রপুর গ্রামে সিকদার ও ভূঁইয়া বংশের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। জুয়েল বাড়ির পার্শ্ববর্তী মাদরাসা বাজারে একটি দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতো। সোমবার (৯ আগস্ট) সকাল ৯টায় ভ্যানে দোকানে আসার পথে বেদভিটা এলাকায় পৌঁছালে কর্মচন্দ্রপুর গ্রামের ইয়াসিন, ফিরোজ, হাফেজসহ ছয়জন তাকে হাতুড়ি দিয়ে মাথা ও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম করে।’

আল আমিন আরও বলেন, ‘ঘটনার পর তার আর জ্ঞান ফেরেনি। শনিবার সন্ধ্যায় খুমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ছয়জনের নামে থানায় মামলা করা হয়েছে। ভাই হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

বাসগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম জুয়েলের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘হাতুড়িপেটা তিনদিন পর সে মারা গেছে।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদুর রহমানকে ফোন করলে তিনি ব্যস্ত রয়েছেন, পরে কথা বলবেন বলে ফোন রেখে দেন।

নড়াইলের পুলিশ সুপার প্রবীর কুমার রায় বলেন, ‘আমরা শুনেছি শারীরিক প্রতিবন্ধী তরুণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’