স্বরূপকাঠীতে জমে উঠেছে ভাসমান তরমুজের হাট

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

পিরোজপুরের নেছারাবাদে (স্বরূপকাঠী) জমে উঠেছে ভাসমান তরমুজের হাট। বৈশাখের গরমের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৌসুমী এ ফলের চাহিদা, সেই সাথে বেড়েছে বেঁচাকেনা। সপ্তাহের সোম ও বৃহস্পতিবার এ দু’দিন স্বরূপকাঠীর পশ্চিম পাড়ে তরমুজের ভাসমান এ হাট বসে।

এ ভাসমান হাটে সন্ধ্যা নদীর শাখা কালিবাড়ী খালে ছোটবড় ট্রলারে তরমুজের সমারোহ দেখা যায়। তরমুজে ভরপুর এসব নৌযানের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠে মিয়ারহাট বন্দর। ভাসমান নৌকা ও ট্রলারেই চলে ভ্রাম্যমান বেঁচাকেনা। তবে হাটের দিন ছাড়াও স্থানীয়ভাবে পাইকারী-খুচরা নিয়মিত বেঁচাকেনা চলে। হাটের দিনে ৫০-৬০ লক্ষ টাকার তরমুজ বেঁচাকেনা হয় বলে জানা গেছে।

বছরের অন্যান্য সময়ে কৃষকরা অন্য পেশায় জড়িত থাকলেও তরমুজ মৌসুমে বেঁচাকেনা ও বাজারজাতকরণে মেতে ওঠেন তারা। তবে বৃষ্টির কারনে ফলন কম হয়েছে এবং এবারের তরমুজ আকারে ছোট ও দাম তুলনামূলক কম বলে জানান একাধিক চাষী। দক্ষিণাঞ্চের চাষীসহ এখানকার স্থানীয় মৌসুমী ব্যবসায়ীরা নাজিরপুরের বৈঠাকাটা, বাগেরহাটের চিতলমারী, বরগুনার তালতলী, কালাইয়া, কলাপাড়া, মহিপুর, রাঙাবালী, চেংরাতলা, পটুয়াখালির গলাচিপা, সোনাখালী, ধানখালী, বাংলাবাজার, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এখানে তরমুজ আমদানি করেন।

স্থানীয়ভাবে পাইকারী বিক্রয়ের পর অবশিষ্ট তরমুজ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে লঞ্চ ও ট্রাকযোগে পাঠান ব্যবসায়ীরা। বড় আকারের প্রতি শতক তরমুজ ১০-১২ হাজার টাকা, মাঝারী আকারের তরমুজ ৫-৭ হাজার টাকা এবং ছোট আকারের তরমুজ ২-৩ হাজার টাকায় বিক্রি হয় বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।