সারাদেশের গণগ্রন্থাগার সচল করার উদ্যোগ

:
: ৭ years ago

সারাদেশের গণগ্রন্থাগার সচল করা, উন্নত বিশ্বের আদলে লাইব্রেরিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ওয়ান স্টপ সেন্টারে পরিণত করাসহ নানা উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বই পাঠে মানুষের আগ্রহ বাড়াতে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এই উদ্যোগ নিয়েছে।

এ বিষয়ে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেছেন, সারাদেশের গণগ্রন্থাগার প্রকৃত অর্থে সচল করার প্রচেষ্টা নেয়া হয়েছে, মানুষের বই পাঠের প্রতি কীভাবে আগ্রহ বাড়ানো যায় সে লক্ষ্যে সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। সাধারণ মানুষকে গ্রন্থাগারের প্রতি আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ব্রিটিশ কাউন্সিলের সঙ্গে কাজ করছে সরকার।

এছাড়া লাইব্রেরির প্রতি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের আগ্রহ বৃদ্ধি করতে উন্নত বিশ্বের আদলে লাইব্রেরিকে নিত্য প্রয়োজনীয় সব সুযোগ-সুবিধাসম্পন্ন ওয়ান স্টপ সেন্টারে পরিণত করা হবে।

শুক্রবার সকালে রাজধানীর বাংলামোটরে অবস্থিত বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র ভবনের অষ্টম তলায় প্রায় পাচ হাজার বর্গফুটের ওপর গড়ে তোলা একটি সুপরিসর, আধুনিক ও মানসম্পন্ন বইয়ের সুপার স্টোর ‘ঢাকা বাতিঘর’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বইমেলা প্রসঙ্গে আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘বইমেলাকে তথাকথিত জনসমাগম কেন্দ্রে পরিণত না করে এটিকে সত্যিকার অর্থে বইপ্রেমীদের একটি মিলনমেলায় পরিণত করার প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সে লক্ষ্যে ১৬টি জেলায় বিশেষ বইমেলা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি, যেখানে রাজধানী ঢাকা থেকে ৭০-৮০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে।

বাতিঘর প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বইয়ের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসা আছে বলেই বাতিঘরের কর্ণধার দীপংকর দাশ এ মহাকর্মযজ্ঞ সাধন করতে পেরেছেন। আমরা যদি প্রত্যেকে একটি করে বই কিনি তবেই বাতিঘর তার আলো ছড়াবে।

বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।

বাতিঘর সম্পর্কে বিস্তারিত আলোকপাত করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার দীপংকর দাশ।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালে মাত্র ১০০ বর্গফুটের ছোট পরিসরে চট্টগ্রামের চেরাগী পাহাড় মোড়ে এটি যাত্রা শুরু করে। প্রকাশনা সংস্থা হিসেবে বাতিঘরের পথচলা শুরু হয় ২০০৯ সালে। ২০১২ সালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব ভবনে প্রায় তিন হাজার বর্গফুটের বিস্তৃত পরিসরে পুরোনো জাহাজের আদলে সম্প্রসারিত হয় বাতিঘর।

অভ্যন্তরীণ সজ্জায় মুঘল স্থাপত্য বিশেষত লালবাগ কেল্লার আদলে নির্মিত ঢাকা বাতিঘরে থাকছে শতাধিক বিষয়ের ওপর দশ হাজারের অধিক লেখকের এক হাজারের বেশি দেশি-বিদেশি প্রকাশনা সংস্থার লক্ষাধিক বইয়ের সংগ্রহ।