#

ভরা পূর্ণিমা ও ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে উত্তাল হয়ে উঠেছে সাতক্ষীরা উপকূলের সব নদ নদী। স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়েছে নদীর পানি। ভাটিতেও নামছে না পানি। উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছে দুর্বল বেড়িবাঁধে। বাঁধ ভাঙার আতঙ্কে সময় পার করছেন উপকূলের মানুষ।

বুধবার (২৬ মে) সকাল থেকে সাতক্ষীরার উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বইছে। মাঝে মধ্যে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে। নদীতে তৈরি হচ্ছে বড় বড় ঢেউ।

 

গাবুরার চেয়ারম্যান মাসুদুল আলম জানান, তার ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁধ ছাপিয়ে পানি প্রবেশ করেছে। কয়েকটি স্থানে বাধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। চলতি জোয়ারে কী হবে তা ঠিক বোঝা যাচ্ছে না।

বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ভবতোষ কুমার মন্ডল জানান, তার ইউনিয়নের দাতিনাখালী ও দুর্গাবাটি পয়েন্ট অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আ ন ম আবুজর গিফারী বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় আমাদের পূর্ব থেকেই প্রস্তুতি রয়েছে। সাইক্লোন শেল্টারগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে।’

 

তিনি আরও বলেন, ‘আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিপূর্ণ বাঁধ সংস্কার করা হয়েছে। কিছু এলাকায় বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করলেও কোথাও বেড়িবাঁধ ভাঙার খবর পাওয়া যায়নি।

তবে অতিরিক্ত জোয়ারের চাপে কোথাও বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সাতক্ষীরা আবহাওয়া অধিদফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জুলফিকার আলী বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হেনেছে। ঝড়ের প্রভাবে সাতক্ষীরার নদীতে ৩ থেকে ৬ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন