বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে উত্তাল বিএফডিসি। গতকাল শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) ছিল শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সেদিন বিএফডিসিতে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের। এজন্য আজ শনিবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে বিএফডিসির এমডি নুজহাত ইয়াসমিনের পদত্যাগ ও শিল্পী সমিতির প্রধান নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা হারুনকে আজীবন অবাঞ্ছিত ঘোষণাসহ বেশকিছু কর্মসূচি দিয়েছেন ১৭ সংগঠনের নেতারা।
এ বিষয়টি অপমানজনক দাবি করে হিরো আলম বলেন ‘গতকাল আমি সকালে বিএফডিসির ভিতরে ঢুকতে গেটের কাছে আসছিলাম। তখন দর্শক আমাকে দেখে ফেলে। কয়েক মিনিটের মধ্যে অনেক দর্শক জমা হয়। তাই পুলিশ আমাকে বিএফডিসির ভিতরে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর আবার আমাকে এ্ফডিসির গেট দিয়ে বের করে দেয়। এবং একটা গাড়িতে উঠিয়ে বাসায় যাওয়ার ব্যবস্থা করে।
আমার তো প্রযোজক সমিতির কার্ড আছে। কেন আমাকে ঢুকতে দেওয়া হলো না। এইটা আমি জানতে চাই। সবচেয়ে বড় কথা আমাদের সিনেমায় সিনিয়র মানুষদের ঢুকতে দেওয়া হলো না কেন। তার উত্তর জানতে চাই। এর মতো লজ্জার আর কিছু হতে পারে না। টেলিভিশনে এটা দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে।
শিল্পী সমিতির ভোটের বিষয়ে জানতে চাইলে হিরো আলম বলেন, ‘গতকাল মনে হয়েছে জাতীয় নির্বাচন হচ্ছে বাংলাদেশে। আমার কাছে গতকাল রাতে মনে হয়েছে ১৮ লাখ ভোট গণণা চলছে। আমি তো জাতীয় নির্বাচন করেছি। সারারাতে কোটি কোটি ভোট গণণা হয়েছে। আর কাল আমাদের শিল্পী সমিতির ৩৬৫ ভোট তা গুনতে সারারাত লাগলো। সেই ভোটের গণনা কি হয়েছে তা সবাই বুঝেছে। সবাই বোঝার পর যদি মেনে নেয় আমিও মেনে নেবো। আমার কোনো সমস্যা নেই।
যারা জয়ী হয়েছেন তাদের নিয়ে হিরো আলম বলেন, ‘ভোট শেষ হয়েছে। এখন শিল্পীরা আমরা ভাই ভাই। রাগ অভিমান ভুলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সিনেমা কীভাবে তৈরি করা যায় সেই ব্যাপারে আলোচনা করতে পারি। ভোট আজ আছে তো কাল নেই। আমাদের অনেক দূর যেতে হবে সিনেমাকে নিয়ে। তাই আমাদের সবাইকে মিলেমিশে সিনেমায় কাজ করতে হবে। তাই সব ভুলে কাজ করতে হবে যারা জয়ী হয়েছেন। যারা জয়ী হননি তাদের সব ভুলে যারা জয়ী হয়েছেন তাদের সাহায্য করতে হবে।’