শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতালের ১০০ গজের মধ্যে মধ্যে পান,সিগারেটের দোকান রাখা রাখা যাবে না- সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন

:
: ৫ years ago

সোহেল আহমেদ: চট্টগ্রাম মহানগরের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল এলাকার একশ গজের মধ্যে অবস্থিত সকল পান-সিগারেটের দোকান দ্রুত সময়ের মধ্যে উচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন। এ ব্যাপারে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে সমন্বিত করে গৃহীত পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন। প্রয়োজনে ধুমপান বা পান খাওয়ার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠানে নির্দিষ্ট কর্ণার চালু করা হবে বলে মত ব্যক্ত করেন।

আজ বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে বেসরকারি সংস্থা বিটা,ইলমা ও ক্যাব চট্টগ্রামের উদ্যোগে তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী বিনির্মাণে “সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযান ” শীর্ষক কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন তামাকমুক্ত চট্টগ্রাম নগরী বিনির্মাণে এভাবে নিজের উদ্যোগ বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল এলাকা থেকে পান সিগারেটের দোকান উচ্ছেদকরণ প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, আমাদের নগরীতে অনেক স্কুল, কলেজ এমনকি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকায় পান,সিগারেটের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। এসব দোকান থেকে তামাক জাতীয় পণ্য সহজে কিনতে পাওয়া যায়। সহজলভ্যতার কারণে শিক্ষার্থীরা ধুমপান আসক্ত হয়ে পড়ছে। ধীরে ধীরে আমাদের প্রজন্ম সমাজ ধ্বংসের অতলে নিমজ্জিত হয়ে যাচ্ছে।

নতুন প্রজন্মের হাতেই পরিচালিত হবে আগামীর বাংলাদেশ। কিন্তু ধুমপান আসক্তি সকল মাদকাসক্তির প্রাথমিক পর্যায় একথা প্রমাণিত সত্য। তাই প্রজন্মকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করতে হলে তামাক মুক্ত নগরী বিনির্মাণ আজ সময়ের দাবী। তিনি বলেন, চট্টগ্রামে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং হাসপাতাল এলাকার একশ গজের মধ্যে কোন ধরণের পান সিগারেটের দোকান দেয়া যাবে না- এই আইনের কার্যকর প্রয়োগের লক্ষ্য নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। এই কাজে সার্বজনীন সহযোগিতা প্রয়োজন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্টদের সমন্বিত করে আমার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করব। এই লক্ষ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্ট পক্ষকে সাথে নিয়ে প্রতিষ্ঠান সংলগ্ন এলাকার একশ গজের মধ্যে অবস্থিত সকল পান সিগারেটের দোকান উচ্ছেদ করা হবে। পরবর্তীতে হাসপাতালগুলোতেও এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকায় এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিটা নির্বাহী পরিচালক শিশির দত্ত, স্বাস্থ্য উপপরিচালক ডা আজিজুর রহমান সিদ্দিকী, চসিক প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, সিটিএফকে বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর ডঃ শরিফুল ইসলাম,চট্টগ্রাম ক্যাব প্রেসিডেন্ট নাজের হোসাইন, বিটার টিম লিডার প্রদীপ আচার্য, কাউন্সিলর আবিদা আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।