#

বিদ্যমান করোনা পরিস্থিতিতে মসজিদ ও অন‌্যান‌্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। সারা দেশে করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ আরোপিত বিধিনিষেধের আলোকে শুক্রবার (৬ আগস্ট) ধর্ম মন্ত্রণালয় এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ৫ আগস্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগস্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ২৩ জুলাই জারি করা জরুরি বিজ্ঞপ্তির অনুবৃত্তিক্রমে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধি-নিষেধ অনুসরণ করার জন্য এবং মসজিদগুলোতে জামায়াতে নামাজ আদায়ের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তগুলো পালনের জন্য অনুরোধ করা হলো।

 

(ক) মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে।

(খ) প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসায় সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধু ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে। ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে।

(গ) মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবানুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেককে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে।

 

(ঘ) কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

(ঙ) শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিরা জামাতে অংশ নেওয়া থেকে বিরত থাকবেন।

(চ) সংক্রমণ রোধে মসজিদের অজুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না।

 

(ছ) সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

(জ) করোনা মহামারি থেকে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কুরআন তিলাওয়াত করতে হবে। আমাদের অন্যায়-অপরাধের জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে।

(ঝ) খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন।

 

(ঞ) অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার এবং সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে হবে।

(ট) উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে। করোনাভাইরাস রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হলো।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন