টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী লুনা ইসরাতের হাত ভেঙে দেয়ার ঘটনায় শিক্ষিকা মুক্তা রানী দাসকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে বিদ্যালয়ের এক জরুরি সভায় তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এছাড়া কেন স্থায়ীভাবে তাকে বরখাস্ত করা হবে না এ জন্য জবাব চেয়ে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেন জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে বাঁশতৈল মো. মনশুর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এক জরুরি সভা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বাবুল। সভায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক, পরিচালনা পরিষদের সদস্য, শিক্ষার্থী লুনা ইসরাতের অভিভাবক ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেন ও পরিচালনা পরিষদের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বাবুল বলেন, শিক্ষার্থী লুনা ইসরাতের হাতের চিকিৎসার ব্যয়ভার বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বহন করবে। এছাড়া ওই শিক্ষিকাকে কেন স্থায়ী বরখাস্ত করা হবে না এজন্য কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাতদিনের মধ্যে নোটিশের জবাব চাওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. এমরান হোসেনকে প্রধান করে শিক্ষক নজরুল ইসলাম বিএসসি ও অভিভাবক প্রতিনিধি সাকিব হোসেন বিপ্লবকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এর আগে শিক্ষার্থী লুনা ইসরাত বাংলা ২য় পত্র পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মুক্তা রানী দাস বৃহস্পতিবার বেত দিয়ে পিটানো শুরু করলে বেত ধরে ফেলে লুনা।
এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষিকা লুনার হাত ধরে টান দিলে আহত হয়। পরে লুনাকে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক জানান লুনার হাতের হাঁড় ভেঙে গেছে। পরে চিকিৎসক তার হাতে প্লাস্টার করে দেন।