রিখটার স্কেল কথাটি আমরা কম বেশি সকলেই শুনেছি৷ কারণ ভূমিকম্পের তীব্রতা মাপার ক্ষেত্রে রিখটার স্কেলেরই সাহায্য নেওয়া হয়ে থাকে৷ রিখটার স্কেলে মাত্রা অনুযায়ী ভূমিকম্পের তীব্রতা এবং ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাওয়া যায়৷
রিখটার পরিমাপ কোন ভূমিকম্পের প্রাবল্যকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করে। এই পরিমাপে যেকোনও সংখ্যার ভূমিকম্প পূর্ববর্তী সংখ্যার চাইতে ১০ গুন শক্তিশালী। যেমন-৩ মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে ৪ মাত্রা ভূমিকম্প ১০ গুন বেশি শক্তিশালী।
এটি সিসমোমিটারের সাহায্যে পরিমাপ করা হয়। রিখটার স্কেলে মাত্রা যদি ৫ হয়, তাহলে তাহলে এটি ১০ গুন বেশি পরিমাপ দেয় রিখটার স্কেল ৪-এর চেয়ে এবং এটি ৩১.৬ গুন বেশি শক্তি প্রবাহ করে কম মাত্রার ভূমিকম্পের চেয়ে৷
০-১.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প এলে শুধুমাত্র সিজমোগ্রাফ থেকেই তা জানা যায়৷
২-২.৯ রিখটার স্কেলে, ভমিকম্প হলে হালকা কম্পন অনুভূত হয়৷
৩-৩.৯ রিখটার স্কেলে, ভূমিকম্প এলে, কোনও ট্রাক বা লরি নিকট দিয়ে গেলে যেমন লাগে এক্ষেত্রেও তেমনই অনুভূত হয়৷
৪-৪.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পে দরজা-জানলা ভাঙতে পারে বা দেওয়ালে টাঙানো ফ্রেম পড়ে যেতে পারে৷
৫-৫.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প এলে বাড়ির আসবাব পত্রে ঝাঁকুনি শুরু হতে পারে৷
৬-৬.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প এলে বাড়ির ওপরের তলাগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে৷
৭-৭.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প এলে বাড়ি ভেঙে পড় ত পারে৷ ভূ-গর্ভেও ভয়ঙ্কর ফাটল হতে পারে৷
৮-৮.৯ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প হলে বড় বড় বাড়িসহ বড় ব্রিজ বা সেতুও ভেঙে পড়ে যেতে পারে৷
৯ বা তার বেশি কম্পন হলে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতি হয়৷ সমুদ্র কাছে থাকলে সুনামিও হতে পারে৷