রান সংগ্রহে শীর্ষে মুশফিক, ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন বাবর

:
: ৫ মাস আগে

দেখতে দেখতে কেটে যাচ্ছে সময়। এই তো সেদিন শুরু হওয়া বিপিএল আসরেরও প্রায় অর্ধেক ফুরিয়ে এলো। সিলেটপর্বে বড় ধরনের চমকের দেখা না মিললেও ওঠা-নামার পালা ছিল বেশ।

আর সেই পালাবদলের খেলায় পিছন থেকে এসে সবার সামনে চলে গেছে রংপুর রাইডার্স। এগিয়ে থাকা খুলনা টাইগার্স আর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সমান পয়েন্ট নিয়ে রানরেটে পিছনে ফেলে টেবিলের শীর্ষে উঠেছে সাকিব আল হাসান, বাবর আজম আর নুরুল হাসান সোহানের রংপুর।

শুধু দল হিসেবেই নয়, ব্যক্তিগত নৈপূণ্যেও বাকি ৬ দলের ক্রিকেটারদের চেয়ে রংপুরের ক্রিকেটাররা ওপরের দিকেই আছেন। যদিও রান সংগ্রহে শীর্ষে আছেন ফরচুন বরিশালের মিডলঅর্ডার মুশফিকুর রহিম।

 

৬ ম্যাচে ২২৯ রান করেছেন মুশফিক। হাফ-সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন ২টি। এর মধ্যে এই ডানহাতি ব্যাটারের সর্বোচ্চ ইনিংস ছিল অপরাজিত ৬৮ রানের। মিস্টার ডিফেন্ডেবল খ্যাত মুশফিকের রানের গড় বেশ ভালো, ৪৫.৮০। টি-টোয়েন্টিতে সমালোচিত ব্যাটারের এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত স্ট্রাইকরেট ১৩০.১১।

রানসংগ্রহে শীর্ষস্থান দখলে মুশফিকের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছেন রংপুরের ব্যাটার বাবর আজম। এই পাকিস্তানি রিক্রুট ৫ ম্যাচে ২ হাফ-সেঞ্চুরিতে রান করেছেন ২০৪। তার সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটি ৬২ রানের। গড় ৫১.০০, স্ট্রাইকরেট ১১৫.৯০।

 

রান সংগ্রহের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন সিলেট স্ট্রাইকার্সের বাঁহাতি ব্যাটার জাকির হাসান। ৭ ম্যাচে জাকিরের সংগ্রহ ১৯৩ রান। তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৭০ রানের। জাকিরের গড় ৩২.১৬, স্ট্রাইকরেট ১২৯.৫৩। যদিও তার দল সিলেটের অবস্থা ভালো নেই। ৭ ম্যাচের ৬টিতেই হেরে তারা আছে টেবিলের তলানীতে।

শ্রীলঙ্কার আভিস্কা ফার্নান্ডো তালিকার চার নম্বরে । চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে খেলা ফার্নান্ডো ৬ ম্যাচে ১৭৪ রান করেছেন। তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি অপরাজিত ৯১ রানের। গড় ৩৪.৮০, স্ট্রাইকরেট ১৫৯.৬৩।

কোনো ফিফটি না করেও রান সংগ্রহের তালিকায় সেরা পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ৬ ইনিংস ব্যাট করা তামিমের মোট রান ১৪৯। তার সর্বোচ্চ ইনিংসটি ৪০ রানের। ২৪.৮৩ গড়ে ১১৫.৫০ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করছেন তিনি।

টি-টোয়েন্টির অনেক নামী তারকাকে পিছনে ফেলে নজর কেড়েছেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অভিজ্ঞ বাঁহাতি মিডলঅর্ডার ইমরুল কায়েস। ইনজুরির কারণে শেষ ২ ম্যাচ খেলতে না পারা ইমরুল ৩ ম্যাচে রান করেছেন ১৪৮। যার মধ্যে দুইবার স্পর্শ করেছেন পঞ্চাশের ঘর। তার সর্বোচ্চ ইনিংস ৬৬ রানের। গড়ও বেশ ভাল, ৪৯.৩৩। আর স্ট্রাইকরেট ১১৮.৪০।

এছাড়া রংপুর রাইডার্সের আফগান মিডলঅর্ডার আজমতউল্লাহ ওমরজাইও ফিফটি ছাড়াই সেরা রান সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন। ৪ ম্যাচে তিনি করেছেন ১৪৭ রান।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আফগান ব্যাটার নজিবুল্লাহ জাদরান (৬ ম্যাচে ১৪৬), খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৫ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৪২) ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শাহাদাত হোসেন দিপু (৬ ম্যাচে ১৩৮) করে রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন।

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আফগান ব্যাটার নজিবুল্লাহ জাদরান (৬ ম্যাচে ১৪৬), খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় (৫ ম্যাচে ২ ফিফটিতে ১৪২) ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের শাহাদাত হোসেন দিপু (৬ ম্যাচে ১৩৮) করে রান সংগ্রহের তালিকায় শীর্ষ দশে জায়গা করে নিয়েছেন।

চট্টগ্রামের আরেক বাঁহাতি ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম (৬ ম্যাচে ১৩২), খুলনার ক্যারিবীয় ওপেনার এভিন লুইস (৪ ম্যাচে ১২৮), কুমিল্লার তৌহিদ হৃদয় (৫ ম্যাচে ১২৬), বরিশালের সৌম্য সরকার (৬ ম্যাচে ১২৩), রংপুরের অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানরা (৬ ম্যাচে ১১৯) আছেন পরের পাঁচে।

এছাড়া ঢাকার ওপেনার নাইম শেখ (৫ ম্যাচে ১১২, এক হাফসেঞ্চুরিতে), খুলনার আফিফ হোসেন ধ্রুব(৫ ম্যাচে ১০৮), বরিশালের অভিজ্ঞ উইলোযোদ্ধা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (৬ ম্যাচে ১০৮ রান ) রংপুরের শামিম পাটোয়ারী (৬ ম্যাচে ১০৭) এবং সিলেটের অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন (৬ ম্যাচে ১০৬ ) আছেন রান সংগ্রহের তালিকায় সেরা বিশে।