রানা প্লাজা ট্রাজেডির প্রায় ৭ বছরে পড়ে স্বজন খুজে পেল লাকি

লেখক:
প্রকাশ: ৫ years ago

বরিশাল সদর উপজেলার ৫ নং চরমোনাই ইউনিয়েনর রাজধর গ্রামের দিন মজুর আনছার বকসি। সংসারে ৬ সন্তান নিয়ে অনেক কষ্টে দিন পার করতে ছিলো আনছার বকসি।

 

পরে পেটের তাগিদে ঢাকায় পারি জমায় আনছার বকসির ২য় মেয়ে লাকি। কাজ নেয় একটি গার্মেন্টসে। ঢাকার সাভার এলাকার সেই রানা প্লাজাই কাজ করতো আনছার বকসির ২য় মেয়ে লাকি। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সকাল পৌনে ৯ টার দিকে নিয়মিত কাজে যায় লাকি।

 

এর পরেই ঘটে ধ্বসের ঘটনা। সেই সময় নিখোঁজ হয় আনছার বকসির মেয়ে লাকি। দীর্ঘ প্রায় ৭ বছর যাবৎ নিখোঁজ ছিলো লাকি। পরে গত ৩/৪ দিন আগে বাড়িতে আসে । তবে সে মানসিক ভারসম্যহীন। বর্তমানে অর্থাভাবে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা নিতে না পারায় স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারেনি লাকি।

 

এই ঘটনায় কোন প্রকার সাহায্য সহযােগী পায়নি এই অসহায় পরিবারটি। অসহায় আনছার বকসি জানান, এত দিনে আমরা কোথাও থেকে কোন অনুদান পাই নাই।

 

তিনি সরকারের উর্ধতন মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন অসহায় পরিবারটি।

 

একটি সূত্র জানায়, গত ৩/৪দিন পূর্বে বুখাইনগর লঞ্চটার্মিনালে থাকে দেখে এলাকার লোকজন।পরে তাকে চিনতে পেরে তাকে তার পরিবারের কাছে নিয়ে যায়।

 

জানা যায়, সাভার বাসস্ট্যান্ডের পাশে রানা প্লাজা নামের একটি বহুতল ভবন ধসে পড়ে। ভবনের কয়েকটি তলা নিচে দেবে যায়। কিছু অংশ পাশের একটি ভবনের ওপর পড়ে।

 

এ দূর্ঘটনায় এক হাজার ১৭৫ জন শ্রমিক নিহত এবং দুই হাজারেরও বেশি মানুষ আহত হয় যা বিশ্বের ইতিহাসে ৩য় বৃহত্তম শিল্প দুর্ঘটনা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।