‘যুদ্ধাপরাধী খু‌নিরা আর যেন ক্ষমতায় না অাস‌তে পা‌রে’-শেখ হাসিনা

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যারা যুদ্ধাপরাধী, খুনি ও অাগুন দিয়ে মানুষ হত্যা করেছে, তারা যেন অার ক্ষমতায় অাসতে না পারে এজন্য প্রতিটি শ্রেণি পেশার মানুষকে সজাগ থাকতে হবে।

তিনি বলেন, যারা এতিমের টাকা চুরি করে, অাগুন দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে, জনগণের টাকা মেরে বিদেশে পাচার করেছে, রাজাকারদের মন্ত্রী বানিয়েছে তারা এ দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। তারা ক্ষমতায় এসে কোনো উন্নয়ন করতে পারে না।

বুধবার ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ অাওয়ামী লীগ অায়োজিত জনসভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি অাহ্বান জানিয়ে বলেন, সরকার গত ৯ বছরে অনেক উন্নয়ন করেছে। এ সব উন্নয়নের কথা জনগণের মধ্যে তুলে ধরতে হবে। শুধু যা করা হয়েছে তাই নয়, যে সব ক্ষেত্রে উন্নয়ন করা হবে তাও বিস্তারিত তুলে ধরতে হবে।

তিনি বলেন, অামরা অাগামী ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকী, ২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করব। ২১ সালে অামরা উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছাব এবং ৪১ সালে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করব।

শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ এখন স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে। উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য এ দেশের অাপামর জনগণের সমর্থন কামনা করেন তিনি।

সূচনা বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, অাগামী ডিসেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে অামাদের শপথ নিতে হবে। মৌলবাদী শক্তিকে পরাজিত করে বিজয় ছিনিয়ে অানতে হবে। যারা ৭ মার্চ পালন করে না, তারা স্বাধীনতায় বিশ্বাস নয়। তিনি ঘোষণা দেন, অাগামীতে সব কর্মসূচি ছুটির দিনে পালন করা হবে।

জনসভা পরিচালনা করেন দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। দুপুর অাড়াইটায় পবিত্র কোরঅান তেলোয়াত, গীতা, বাইবেল ও ত্রিপেটক থেকে পাঠের মাধ্যমে জনসভা শুরু হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে ওবায়দুল কাদের সূচনা বক্তব্য রাখেন।

জনসভায় ব্ক্তব্য রাখেন জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, অাওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য শিল্পমন্ত্রী অামির হোসেন অামু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল অাহমেদ, কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, স্বাস্থ্যমস্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, লে কর্নেল অব ফারুক খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা অাজম, কবি নির্মলেন্দু গুণ, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন, মহানগর অাওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি এ কে এম রহমতুল্লাহ, মহানগর অাওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি হাজী অাবুল হাসনাত, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুর অর রশিদ, অাওয়ামী অাইনজীবী পরিষদ সদস্য সচিব ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, মহিলা অাওয়ামী লীগ সভাপতি সাফিয়া খাতুন , শ্রমিক লীগ সভাপতি শুক্কুর মাহমুদ, কৃষক লীগ সভাপতি, মোতাহার হোসেন মোল্লা, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মোল্লা অাবু কাওসার, মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা অাক্তার, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।