মেহেন্দীগঞ্জে শারমিন হত্যা মামলার বাদী সুমন গাজীপুরে খুন

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago

বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চানপুর ইউনিয়নে শারমিন হত্যা মামলার বাদী ভাই সুমন ঘরামীকে (২৬) শ্বাসরোধে গাজীপুরে খুন করা হয়েছে। তার মরদেহ ঢাকার গাজীপুরের কোনাবাড়ির শালবন থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে শনিবার সকালে সুমন ঘরামীর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। নিহত সুমন মেহেন্দীগঞ্জের চানপুর ইউনিয়নের শ্যামপুর গ্রামের খোরশেদ ঘরামীর ছেলে। তিনি কোনাবাড়িতে জুটের ব্যবসা করতেন।

নিহত সুমনের ছোট ভাই মো. সুজন জানান, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জুটের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বের হয়ে শালবন সংলগ্ন বাসার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন সুমন। রাতে তিনি বাড়ি ফিরে পরিবারের কাছে সুমনের কথা জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, তিনি বাড়ি আসেননি। এরপর বিভিন্ন স্থানে সুমনের সন্ধান করেন তিনি। কিন্তু কোথাও কোনো সন্ধান না পেয়ে স্বজনদের বিষয়টি জানান। এরপর গত শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে খবর পান বাড়ি সংলগ্ন শালবনের ভেতর একটি মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পান মৃতদেহটি সুমনের। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

নিহত সুমনের চাচা মো. শাহিন জানান, শারমিন হত্যা মামলার আসামি সুমন মৃধা (৩২) কারাগার থেকে বের হয়ে নিহত সুমনের মোবাইলে হুমকি দিয়ে আসছিল। বিষয়টি সুমন তাকে (শাহিন) জানিয়েছে। জানার পর সুমনকে সাবধানে চলার পরামর্শ দেই। শতভাগ নিশ্চিত সুমনের হত্যাকারী শারমিন হত্যাকারীরা। এ ব্যাপারে জয়দেবপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, ধারণা করা হচ্ছে সুমনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃতদেহ শালবনের ভেতর ফেলে রাখা হয়।

গত শুক্রবার মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মেহেন্দীগঞ্জ পৌরসভার কালিকাপুর ওয়ার্ডের সাবেক মহিলা কাউন্সিলর বেগম দিলুর ছেলে সুমন মৃধা যৌতুকের দাবিতে স্ত্রী শারমিনের ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়। কিন্তু কোনোভাবে যৌতুকের টাকা আদায় করতে না পেরে ২০১৬ সালের ৩ ডিসেম্বর দুই সন্তানের জননী শারমিনের শরীরে আগুন দেয়। ১৯ ডিসেম্বর শারমিনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শারমিনের ভাই সুমন ঘরামী বাদী হয়ে সুমন তার বাবা-মা ও বোন-ভগ্নিপতিকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।