একটা সময় লিওনেল মেসির বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি বার্সেলোনার হয়ে যতটা প্রাণবন্ত থাকেন, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের হয়ে ঠিক ততটা দেখা যায় না। নিন্দুকরা প্রায়ই এ বিষয়ে সমালোচনায় বিদ্ধ করতেন ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ফুটবলারকে।
তবে গত কয়েক বছরে পুরোপুরি বদলে গেছে এই চিত্র। ক্লাব ফুটবলে যেমনই হোক না কেন, জাতীয় দলের হয়ে যেন নিজের শেষ বিন্দু পর্যন্ত ঢেলে দিতে প্রস্তুত থাকেন মেসি। বিশেষ করে গত বছর কোপা আমেরিকার শিরোপা জেতার পর মেসি ও আর্জেন্টিনা মিলে গেছে এক বিন্দুতে।
আর মেসি যখনই যোগ দেন আর্জেন্টিনা দলে, তখন আশপাশের বাকি সবারও আগ্রহ-উৎসাহের কোনো কমতি থাকে না। আর এ কারণেই মেসির জন্য প্রতি ম্যাচে ২০০-৩০০টি জার্সি বানাতে হয় আর্জেন্টিনার জার্সি প্রস্তুতকারকদের। কেননা সবারই আবদান থাকে, মেসির একটি জার্সি পাওয়ার।
এ তথ্য জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার কোপা আমেরিকা জয়ের অন্যতম নায়ক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। এ গোলরক্ষকের মতে, দুই ম্যাচের জন্য যখন জাতীয় দলে যোগ দেন মেসি, তখন গড়ে ৬৫০টি করে জার্সি বানাতে হয়। প্রতি ম্যাচে যা ৩০০ ছাড়িয়ে যায়।
অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে এমিলিয়ানো বলেছেন, ‘একদিন আমি তাদের (জার্সি প্রস্তুতকারক) জিজ্ঞেস করলাম, প্রতি ম্যাচে মেসির জন্য কতটি জার্সি বানানো হয়? তারা জানালো প্রায় ২০০ থেকে ৩০০টি বানানো হয় যাতে যারা মেসির জার্সি চায় তাদের দেওয়া যায়।’
তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা দুইটি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছি এবং তারা মেসির ৬৫০টি পরিধানযোগ্য জার্সি তৈরি করে রেখেছিল। স্পন্সর, খেলোয়াড়, স্টাফ, টেকনিশিয়ান- সবাই একটি জার্সি চায়। কারণ এটি তো মেসির জার্সি!।’
লাতিন অঞ্চল থেকে এরই মধ্যে বিশ্বকাপের টিকিট নিশ্চিত করে ফেলেছে আর্জেন্টিনা। তবে এখনও বাকি রয়েছে তাদের তিনটি ম্যাচ। আগামী ২৬ মার্চ ভেনেজুয়েলা ও ৩০ মার্চ ইকুয়েডরের বিপক্ষে খেলবে আলবিসেলেস্তেরা। অন্য ম্যাচটি হবে ব্রাজিলের বিপক্ষে।