মিরপুরে খেলা বাংলাদেশের আগের তিন ফাইনাল

:
: ৬ years ago

ঘরের মাঠে খুব বেশি টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার সুযোগ হয়নি টিম বাংলাদেশের। ধীরে ধীরে বাংলাদেশ যখন ক্রিকেটে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করছে, তখন ফাইনালের সংখ্যাও বাড়ছে। শনিবার শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালে মাঠে নামবে যখন বাংলাদেশ, তখন এটা হবে ঘরের মাঠে তাদের চতুর্থ ফাইনাল এটি।

এর আগে মোট ৩টি ফাইনাল খেলেছে বাংলাদেশ; কিন্তু দুর্ভাগ্য একটি ফাইনালও জিততে পারেনি টাইগাররা। সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল ২০১২ সালে এশিয়া কাপের ফাইনালে পাকিস্তানের কাছে মাত্র দুই রানে হার। ওই ম্যাচে নিশ্চিত জয় পেতে যাচ্ছে বাংলাদেশ; কিন্তু শেষ পর্যন্ত ফাইনালের চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি মুশফিকুর রহীমের দল।

এর আগে ২০০৯ সালে ত্রিদেশীয় সিরিজে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেও জিতে যাচ্ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের দল। নিজেরা ১৫৮ রানে অলআউট হলেও লঙ্কানদের চেপে ধরেছিল টাইগাররা। ওই ম্যাচে লঙ্কানদের শুরুতে জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। তার মত ব্যাটসম্যানের বড় বাধাও এক সময় দুর হয়ে গিয়েছিল; কিন্তু শেষ মুহূর্তে এসে সেদিন যেন মুরালিধরন এবং পারভেজ মাহারুফও জেনুইন ব্যাটসম্যান হয়ে গিয়েছিলেন। পারভেজ ৩৮ এবং মুরালিধরন অপরাজিত ছিলেন ৩৩ রানে। শ্রীলঙ্কা জিতে গেলো মাত্র ২ উইকেটে।

এরপর ২০১৬ সালের এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে গিয়েছিল বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষ ভারত। বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ওভার কমিয়ে দেয়া হয়েছিল ৫টি। ১৫ ওভারের খেলায় বাংলাদেশ লড়াই’ই করতে পারেনি। প্রথমে ব্যাট করে সংগ্রহ করেছিল মাত্র ১২০ রান। ভারতও এই রান তাড়া করতে নেমে ২ উইকেট হারায়। ৭ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায়।

জাগো নিউজের পাঠকদের জন্য ঘরের মাঠে খেলা টাইগারদের আগের তিনটি ফাইনালের সংক্ষিপ্ত চিত্র এবং স্কোরকার্ড তুলে ধরা হল…

বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা : ১৬, জানুয়ারি, ২০০৯ (ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনাল)।
টস : শ্রীলঙ্কা (ফিল্ডিং), অধিনায়ক : মোহাম্মদ আশরাফুল, জয়াবর্ধনে
বাংলাদেশ : ১৫২/১০, ৪৯.৪ ওভার (রাকিবুল ৪৩*, মাহমুদউল্লাহ ২৬, নাঈম ইসলাম ২১, তামিম ১৮, আশরাফুল ১৩; কুলাসেকারা ৩/১৯, অজন্তা মেন্ডিস ৩/২৪, মুরালিধরন ২/৩৩)
শ্রীলঙ্কা : ১৫৩/৮, ৪৮.১ ওভার (সাঙ্গাকারা ৫৯, পারভেজ মাহারুফ ৩৮*, মুরালিধরন ৩৩*, জিহান মুবারক ১৬; নাজমুল হোসেন ৩/৩০, সাকিব আল হাসান ২/২২), মাশরাফি বিন মর্তুজা ১/১৮)।
ফল : শ্রীলঙ্কা ২ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : কুমার সাঙ্গাকারা।

বাংলাদেশ-পাকিস্তান : ২২ মার্চ, ২০১২, (এশিয়া কাপের ফাইনাল)।
টস : বাংলাদেশ (ফিল্ডিং), অধিনায়ক : মুশফিকুর রহীম ও মিসবাহ-উল হক
পাকিস্তান : ২৩৬/৯, ৫০ ওভার (সরফরাজ আহমেদ ৪৬*, মোহাম্মদ হাফিজ ৪০, আফ্রিদি ৩২, উমর আকমল ৩০, হাম্মাদ আজম ৩০, মিসবাহ-উল হক ১৩)।
বাংলাদেশ : ২৩৪/৮, ৫০ ওভার (সাকিব আল হাসান ৬৮, তামিম ইকবাল ৬০, নাসির হোসেন ২৮, মাশরাফি ১৮, মাহমুদউল্লাহ ১৭*, নাজিমুদ্দিন ১৬; আইজাজ ছিমা ৩/৪৬, উমর গুল ২/৬৫, সাঈদ আজমল ২/৪০, আফ্রিদি ১/২৮)।
ফল : পাকিস্তান ২ রানে জয়ী। ম্যাচ সেরা : শহিদ আফ্রিদি।

বাংলাদেশ-ভারত, ৬ মার্চ, ২০১৬ (এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টির ফাইনাল)।
টস : ভারত (ফিল্ডিং)। ১৫ ওভারের ম্যাচ। অধিনায়ক : মাশরাফি ও মহেন্দ্র সিং ধোনি
বাংলাদেশ : ১২০/৫, ১৫ ওভার (মাহমুদউল্লাহ ৩৩, সাব্বির রহমান ৩২*, সাকিব আল হাসান ২১, সৌম্য সরকার ১৪, তামিম ইকবাল ১৩; অশ্বিন ১/১৪, বুমরাহ ১/১৩, জাদেজা ১/২৫ এবং নেহরা ১/৩৩)।
ভারত : ১২২/২, ১৩.৫ ওভার (শিখর ধাওয়ান ৬০, বিরাট কোহলি ৪১*, ধোনি ২০*; তাসকিন ১/১৪, আল আমিন ১/৩০)।
ফল : ভারত ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যাচ সেরা : শিখর ধাওয়ান।