#

জাকারিয়া আলম দিপুঃগ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ -এর নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানকে যোগদানোত্তর সংবর্ধণার আয়োজন করে ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ।

আজ সকাল ১০টায় বরিশাল আশ্বিনী কুমার টাউন হলে নবনিযুক্ত উপাচার্য যোগদানোত্তর সংবর্ধণার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক ।

গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মোহাম্মদ ইউনুস, লালমাটিয়া ওমেন্স কলেজের অধ্যপক অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলাম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের চেয়ারম্যান ও প্রোগ্রাম পরিচালক প্রফেসর মো. জহির উদ্দিন আরিফ, শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত বরিশাল প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী নাসির উদ্দিন বাবুল, জাতীয় কিডনী ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ডা. নাজমুল হাসান, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর ভাইস চেয়ারম্যান এস. আমরিন রাখী, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সারাফ আনিকা,ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য প্রফেসর ডঃ মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর একে, এম এনায়েত হোসেন, দৈনিক আজকের পরিবর্তন’র সম্পাদক ও প্রকাশক কাজী মিরাজ মাহমুদ, ২২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনিছুর রহমান দুলাল।

অনুষ্ঠান শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন- ইউনিভার্সিটির ট্রেজারার তপন কুমার বল।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা কলেজের অধ্যক্ষ এবং শিক্ষাবিদ,কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের বিভাগীয় প্রধান রেজয়ানা ইসলাম, ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের বিভাগীয় প্রধান মোঃ জিয়াউল আলম, ব্যাচেলর অব বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশন অনুষদের বিভাগীয় প্রধান মোঃ নজরুল ইসলাম, ইংরেজী অনুষদের বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ ইমামুল ইসলাম, লাইব্রেরি ও তথ্য বিজ্ঞান অনুষদের বিভাগীয় প্রধান আমিনুল ইসলাম, আইন অনুষদের বিভাগীয় প্রধান ধুব ব্রত দাস ,সাংবাদিকবৃন্দ সহ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ ।

কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমি ব্যবসা করতে আসিনি। আমি এসেছি দেশ বরেণ্য মানুষ গড়ার প্রতিষ্ঠান নিয়ে। আমার স্বপ্ন গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের একটি আর্ন্তজাতিক মানের ইউনিভার্সিটিতে পরিনত হবে। দেশের মধ্যে একটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে। দেশের বিভিন্ন স্থান হতে শিক্ষার্থীরা উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য বরিশাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটিতে লেখা-পড়ার জন্য ছুটে আসবে।  দক্ষিণ এশিয়ার সক্রেটিস খ্যাত প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান এর বরিশাল গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ (জিইউবি) এর নবনিযুক্ত উপাচার্য হিসেবে যোগদানোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তৃতায় জাহাঙ্গীর কবির নানক এসব কথা বলেছেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা জাহাঙ্গীর কবির নানক আরো বলেন, দেশের শিক্ষাঙ্গন এক সময় কালো অন্ধকারে নিমগ্ন ছিলো। আমাদের সুযোগ্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আলোকিত করেছেন। মানুষের মাঝে শিক্ষার আলো পৌছে দিতে তিনি জেলায় জেলায় প্রতিষ্ঠা করেছেন ১২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ। তিনি প্রতিষ্ঠা করেছেন ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, মেডিকেল কলেজ সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আমি ঢাকায় ছাত্র রাজনীতি করেছি। দেখেছি বরিশাল অঞ্চলের শিক্ষার্থীরা কিভাবে ঢাকায় গিয়ে কষ্ট করে লেখা পড়া করেছে। অনেক মেধা সম্পন্ন শিক্ষার্থী থাকা সত্যেও তারা টাকার অভাবে ঢাকায় গিয়ে লেখা-পড়া করতে পারছে না। তাদের সেই কষ্ট আমি উপলব্দি করেছি। তখনই থেকেই বরিশালে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি। আর সেই স্বপ্ন থেকেই বরিশালে সর্রপ্রথম বেসরকারি গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছি। আমি চাই প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এটি একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান হিসেবে দৃষ্টান্ত স্থাপন করবে।

তিনি বলেন, আমরা ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা এখান থেকে অর্থ গ্রহণ করি না। আমরা গর্ব করে বলতে পারি গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ একটি মান সম্মত প্রতিষ্ঠান। আমরা চাই গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি থেকে শিক্ষার্থীরা মান সম্মত শিক্ষা অর্জন করে দেশ ও বিদেশের মাটিতে নিজেকে তুলে ধরবে। বাংলাদেশের জন্য সম্মান বয়ে নিয়ে আসবে।

তিনি আরো বলেন, ছাত্র-ছাত্রী কতজন আছে তা আমাদের জানার বিষয় নয়। মুল বিষয় হলো মান সম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা। গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি থেকে এরই মধ্যে অনেক শিক্ষার্থী লেখাপড়া শেষ করেছেন। আরো অনেকে পাশ করে বের হবে। তারা দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করে দেশ ও গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির সুনাম অর্জন করতে পারলে সেটাই হবে আমাদের মুল চাওয়া পাওয়া।

তিনি আরো বলেন, তার স্ত্রী এবং গ্লোবাল ইউনিভার্সি অব বাংলাদেশ এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা আনজুমান বানু নার্গিস এর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, তার অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনেই আজ গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠানে রূপ নিয়েছে। তার প্রচেষ্টাতেই ইউনিভার্সিটির পাশাপাশি গ্লোবাল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল চালু হয়েছে। এখন আমাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসও হবে। যার কাজ খুব শিঘ্রই শুরু হবে।

শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘তোমাদের মনে রাখতে হবে পুথিগত বিদ্যা অর্জন করলেই হবে না। মান সম্মত শিক্ষা অর্জন করতে হবে। এজন্য দেশ এবং দেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে হবে। আমাদের দেশে এখন আর কর্মস্থানের অভাব নেই। শুধু তোমাদের বেছে নিতে হবে কে কোন কর্মসংস্থানে যাবে। এজন্য শিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কারিগরি হাত তৈরী করতে আহ্বান জানান তিনি।

সংবর্ধণা অনুষ্ঠানে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামান বলেন, আমি এখানে চাকুরী করতে আসিনি। এসেছি সেবা দিতে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় ৫০ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে আমার। আল্লাহ আমাকে অনেক দিয়েছেন। যা চাওয়ার থেকেও বেশি। তাই নতুন করে চাওয়ার কিছু নেই।

তিনি বলেন, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে মানুষের মধ্যে ভুল ধারনা রয়েছে। অথচ পৃথিবীতে সকল বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যাই বেশি। তার মধ্যে রয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি,ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, হার্বাট বিশ্ববিদ্যালয়। আমেরিকায় প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মধ্যে এগুলো অন্যতম।

অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা আপনাদের সন্তানদের আমাদের কাছে দিন। আমরা কথা দিচ্ছি ওদের মানসম্মত শিক্ষায় শিক্ষিত করে দিবো। প্রমান করে দিবো যে চার বছরের ট্রেনিং নিয়ে ওরা মানসম্মত শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চ্যালেঞ্জ করতে পারবে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে অসম্ভব বলে কিছু মনে হবে না।

তিনি বলেন, গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি নিয়ে আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে। আমাদের ছেলে-মেয়েরা বিদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে গবেষনা করবে। আবার ইংল্যান্ড, আমেরিকা সহ অন্যান্য দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে আসবে গবেষনা এবং শিক্ষা গ্রহণের জন্য। আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের প্রচেষ্টায় গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এক সময় দেশ সেরা প্রতিষ্ঠানে পরিনত হবেই।

এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনিযুক্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রতিষ্ঠানের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিস। এছাড়া অনুষ্ঠানের শুরুতে নবনিযুক্ত প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের একটি বায়োগ্রাফি ও ইউনিভার্সিটির ডকুমেন্টারী উপস্থাপন করা হয়।

এদিকে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে অশ্বিনী কুমার টাউন হলে বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এর শিক্ষার্থীরা পারফরমেন্স করেন। সংবর্ধনা উপলক্ষে অশ্বিনীকুমার টাউন হলটি নববধূ সাজে সজ্জিত করা হয়। নানান রংয়ের ও বর্নের ফুল দিয়ে স্টেইজ তৈরি করা হয়। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় ভাগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। প্রধান অতিথি ও ইউনিভার্সিটির প্রতিষ্ঠাতা এ্যাড. জাহাঙ্গীর কবির নানক, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সৈয়দা আরজুমান বানু নার্গিস, সংবর্ধিত ভিসি ড. আনিসুজ্জামানসহ উপস্থিত অতিথিরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।

উল্লেখ্য গত ৭ই মে ঢাবি প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানকে  ভাইস চ্যান্সেলর হিসেবে নিয়োগ প্রদান করেছেন রাষ্ট্রপ্রতি ও  গ্লোবাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ -এর মাননীয় চ্যান্সেলর আব্দুল হামিদ।

গোপালগঞ্জের কৃতি সন্তান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের সুপারনিউমারি শিক্ষক অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান । তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনে অনার্স করার পর ১৯৭৩ সালে মাস্টার্স করেন। ১৯৮১ সালে এমফিল করার পর যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েলস থেকে ‘দার্শনিক নৃতত্ত্বে’র ওপর ১৯৮৮ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

১৯৯৪ সালে তুলনামূলক ধর্মতত্ত্বের উপর যুক্তরাষ্ট্রের অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পোস্ট ডক্টরেট পর্যায়ে গবেষণা করেন। ১৯৯৭ সালে পুনরায় লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরেট করেন। পরবর্তীতে লন্ডনের কিংস কলেজে তুলনামূলক ধর্ম ও দার্শনিক নৃতত্ত্বের ওপর কাজ করেন। ধর্মতত্ত্ব, বাংলাদেশের সমাজ, সামাজিক অবস্থা, তরুণ প্রজন্ম, ফকির লালন সাঁই এর জীবন দর্শন সহ সামাজিক ও মানবিক সব ধারাতেই কাজ করেন তিনি।

তিনি ভারতের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উপাধি ‘নিম্বার রত্ম’ লাভ করেছেন। দর্শন সাগর, দর্শন আচার্য্য, ধর্মমর্মজ্ঞানী, বিনয় মুকুট, অ্যাম্বাসেডর অব গাজ্জালি এফ ওয়াক, বাংলার মলোন্ডারসহ আরো অনেক উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন তিনি। অধ্যাপনার পাশাপাশি South Asian Fraternity -এর বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের চেয়ারম্যান।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন