জনগণের দোড়গোঁড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হলেও বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
ওই ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে সেবার নামে অতিরিক্ত অর্থ আদায় ও সেবা প্রত্যাশীদের দিনের পর দিন হয়রানি করা হয়েছে বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ তুলেছেন।
আর অনিয়ম ও অতিরিক্ত অর্থ আদায়ে বর্তমান পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যরা দ্বিমত পোষণ করায় পরিষদ ছেড়েছেন উদ্যোক্তা সুমন সরদার।
সে গত ১৫ দিন পরিষদে না এসে উল্টো চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বলে জানিয়েছে বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যরা।
সরেজমিন ও ভুক্তভোগীদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী জানাযায়, গত পাঁচ বছর উদ্যোক্তা সুমন সরদার নিয়মকে অনিয়মে পরিনত করে নিজের স্বার্থ হাছিলে বলির পাঠা বানিয়ে রেখেছে ইউনিয়নের সেবা প্রত্যাশীদের।
জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু সনদ, প্রত্যায়ন ও সেবামূলক কাজে বিগত দিনে অবৈধ লাখ লাখ টাকা কামিয়ে নিয়েছেন তিনি।
ইউনিয়নের পাংশা গ্রামের ভুক্তভোগী আনোয়ার খান বলেন, আমার কাছ থেকে জন্ম নিবন্ধনের জন্য পাঁচ শত টাকা নিয়ে তিন মাস যাবৎ নানা অজুহাতে সময় ক্ষেপণ করছে। একই অভিযোগ বাড়ৈই খালির আসিব ও হাদিবস কাঠীর আলমসহ অনেকের।
জানাযায়, ইউনিয়ন পরিষদের সুনাম অক্ষুন্ন রাখতে ৫ আগষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের নিয়ে এক বৈঠকে সকলের সিধান্ত মোতাবেক জন্ম নিবন্ধনে ১০০ টাকা ধার্য করে দেয়া হয়।
ওই সিধান্ত মানতে রাজি না হওয়ায় সুমন ০৭ আগষ্ট থেকে পরিষদে আসা বন্ধ করে দেয় এবং পরিষদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মনগড়া অভিযোগ ছড়িয়ে দিতে থাকে।
এমত অবস্থায় জনসাধারনের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান তার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার বষিরকে দিয়ে কাজ সেবা মূলক কাজ করিয়ে আসছেন।
তাছাড়া গত ২৪ আগষ্ট থেকে জন্ম নিবন্ধনের কাজ ইউপি সচিব নিজেই করা শুরু করেন।
অভিযুক্ত সুমন বলেন, জন্ম নিবন্ধন বাবদ আমি ২শত টাকা নেই। চেয়ারম্যান আমাকে একশত টাকা নিতে বলেছে। একটা জন্ম নিবন্ধনের কাজে একশত টাকা নিলে আমার পোষায় না। তাই পরিষদে না গিয়ে একটি দোকানে বসে কাজ করছি।
ইউপি সচিব এস এম জিয়াউল ইসলাম বলেন, আমি ব্যস্ত থাকায় জন্মনিবন্ধনের কাজটা সুমনকে দিয়ে করানো হতো। সে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারটা শুনেছি।