ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও ভয়াল হয়ে উঠছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি। ইতোমধ্যেই সরকারি হিসাব অনুযায়ী আক্রান্তের সংখ্যা ৭০০ হলেও বেসরকারি হিসাবে এ সংখ্যা অনেক বেশি।
এদিকে নিজ রাজ্যের এ পরিস্থিতির জন্য বাংলাদেশকে দুষলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ থেকে সীমান্তের গ্রামগুলোতে এডিস মশা চলে যাওয়ায় ডেঙ্গু পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনার বারাসত মহকুমার অন্তর্গত হাবড়াতে অজানা জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। পরবর্তীতে তা ডেঙ্গু জ্বর হিসেবে চিহ্নিত হয়।
এ অবস্থায় সেখানে স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্য সরকারের খাদ্যমন্ত্রীকে ডেঙ্গু মোকাবিলায় দেখভালের দায়িত্ব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার কলকাতায় সবুজ বাঁচাও নামের একটি র্যালি শেষ করে ভাষণ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বাংলাদেশে ডেঙ্গুর ভয়াবহ প্রভাবের কথা জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে যে কোনো সমস্যা হলে সেই প্রভাব পড়ে পশ্চিমবঙ্গেও। বাংলাদেশ থেকে ডেঙ্গুর জীবাণু নিয়ে এডিস মশা ভারতের পশ্চিমবঙ্গে আসছে বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কলকাতায় নজরুল মঞ্চের ওই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, বাংলাদেশে ডেঙ্গু মহামারী রূপ নিচ্ছে। এ বিষয়ে আমাদের বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। কেননা ওপার বাংলার মশা এপারে আসে। আবার এপার থেকে ওপারে যায়। দুই পারেই বহু মানুষ যাতায়াত করে।
তিনি বলেন, পশ্চিমবঙ্গে ডেঙ্গু ছড়ানোর পেছনে বাংলাদেশের মশার ভূমিকা থাকতে পারে।
তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গেও ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। যদিও এখন পর্যন্ত তা বাংলাদেশের তুলনায় অনেক কম।
উত্তর ২৪ পরগনা জেলা ছাড়াও রাজ্যটির নদীয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদার বেশ কিছু এলাকায় ডেঙ্গুর প্রভাব দেখা দিয়েছে। তবে, কলকাতায় এখনও ডেঙ্গুর তেমন কোনো খবর নেই।