ভাইয়ের কারণে ব্যবসা ছাড়লেন অনিল আম্বানি!

লেখক:
প্রকাশ: ৭ years ago
অনিল আম্বানি

ভাইয়ের সঙ্গে ব্যবসায় কুলিয়ে উঠতে না পেরে মোবাইল ফোনের ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন অনিল আম্বানি। তিনি রিলায়েন্স কমিউনিকেশনসের মালিক। অনিল আম্বানি বলেছেন, তিনি কোম্পানিটির অধিকাংশ অ্যাসেট বিক্রি করে দিয়েছেন এবং মোবাইল ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। এর কারণ হিসেবে তিনি ভারতের দ্রুত বর্ধনশীল মোবাইল মার্কেটের সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে না পারাকে দায়ী করেছেন। খবর সিএনএনের।ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস, তিনি তার বড় ভাই মুকেশ আম্বানির কারণেই মূলত মোবাইল ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন।

আসলে গেলো বছরের সেপ্টেম্বরে মুকেশ আম্বানি ভারতের মোবাইল বাজারে রীতিমতো ঝড় তোলেন। তিনি ওইসময় গ্রাহকদের ছয় মাসের জন্য ফোরজি ইন্টারনেট সেবা ফ্রি করে দেন। কেননা রিলায়েন্স জিও’র ১৫ কোটির বেশি গ্রাহক রয়েছে। এর ফলে অন্যান্য মোবাইল ফোন অপারেটরদের রীতিমতো মাথায় হাত।রিলায়েন্সে জিও’র কারণে চলতি বছরের শুরুতে রিলায়েন্স কমিউনিকেশনস ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শুধু তাই নয়, ভারতের পুরো টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতেও এর ঢেউ লাগে।

মঙ্গলবার ওই সংকটের কথাই আবারো বললেন অনিল আম্বানি। মোবাইল ব্যবসা থেকে সরে যাওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে ‘অনেক মানুষ ও অনেক কোম্পানি’ এসেছে।অনিল বলেন, এই ইন্ডাস্ট্রি ১০ জনের জন্য নয়। এটা দুই, তিন বা চারজনের জন্য।রিলায়েন্স তাদের সাতশ কোটি ডলারের ঋণ পরিশোধের জন্য অ্যাসেট বিক্রি করে দিচ্ছে। এজন্য নিলামে তোলা হচ্ছে হাই-স্পিড ব্যান্ডউইথ, ৪৩ হাজারের বেশি সেলফোন টাওয়ার। এমনকি নয়া দিল্লি, মুম্বাই, চেন্নাই ও কলকাতার মতো শহরে আবাসন খাতের অ্যাসেট। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ ওই বিক্রি সম্পন্ন হবে।

টেলিকম প্রতিষ্ঠানটি এখন থেকে ব্যক্তি পর্যায়ে ক্রেতাদের সেবা দেয়া শুরু করবে।রিলায়েন্সের এ ঘোষণায় বুধবার কোম্পানিটির শেয়ারে ঊর্ধমুখিতা লক্ষ্য করা গেছে। ওই শেয়ারের দাম প্রায় ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে।শুধু তাই নয় রিলায়েন্স জিও’র অফারের কারণে অন্যান্য টেলিকম কোম্পানিগুলো বিকল্প ব্যবস্থা নিচ্ছে। যেমন ভোডাফোন আগামী মার্চে ভারতীয় টেলিকম কোম্পানি আইডিয়ার সঙ্গে একীভূত হচ্ছে। আর এই কোম্পানি দুটি একীভূত হলে তাদের গ্রাহক সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের জনসংখ্যার চেয়ে বেশি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ভারতের টেলিকম খাতের নেতৃত্বে থাকা ভারতী এয়ারটেলও নরওয়ের টেলিকম কোম্পানি টেলিনরকে অধিগ্রহণ করেছে।২০০২ সালে বাবার মৃত্যুর পর দুই ভাই রিলায়েন্সকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেয়