বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী আবদুর রব মিয়ার মৃত্যুতে ভোলায় শোকের ছায়া

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

ভোলার লালমোহন পৌরসভা নিবাসী মরহুম মৌলভী করিম বক্স এর জ্যেষ্ঠ সন্তান আলহাজ মো. আবদুর রব মিয়া (বিএ, বিএড) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। গত বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) ৪টা ২৫ মিনিটে বার্ধক্যজনিত কারণে নিজ বাসভবনে ইন্তেকাল করেন তিনি।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার পুত্র ও চার কন্যা সন্তানসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। তার সন্তানরা সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরে কর্মরত রয়েছেন। তার মৃত্যুতে মরহুমের নিজ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বিভিন্ন ধর্ম-বর্ণের মানুষ তার মৃত্যুতে গভির শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন।

মরহুম আলহাজ মো. আবদুর রব মিয়া জীবদ্দশায় ইসলাম ধর্মের মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুশাসনগুলো মেনে চলার আমৃত্যু চেষ্টা করে গেছেন। সদালাপী, দানশীল, পরোপকারী ও সহজ-সরল প্রকৃতির আব্দুর রব মিয়া ২০০৩ সালে পবিত্র হজ্বব্রত পালন করেন। একজন শিক্ষানুরাগী আবদুর রব মিয়া’র কর্মজীবন শুরু হয় ললমোহন উপজেলার গজারিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পেশার মধ্যে দিয়ে।

পরবর্তীতে তিনি ডাওরীহাট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক ছিলেন। অতপর প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগের অধীন ভোলা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের মনিটরিং অফিসার হিসেবে দক্ষতা, সততা ও সুনামের সহিত ২০০০ সালে কর্মময় জীবনের ইতি টেনে অবসর গ্রহণ করেন।

কর্মময় জীবনের পাশাপাশি তিনি প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ইসলামিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, পৌর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাসিনা খানম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তর তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তারাগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণ কাউরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বালুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তজুমদ্দিনের উত্তর চাপড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।

এছাড়াও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি। যার মধ্যে পূর্ব পাড়া জামে মসজিদে দীর্ঘদিন সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন তিনি। দায়িত্বপালনকালিন সময়ে তিনি শত বছরের পুরানো এই টিনের ঘরের মসজিদকে সকলের সহযোগিতায় আধুনিক ভবনে রূপান্তর করেন।

জৈনপুর দরবার শরীফের খানকা প্রতিষ্ঠা, দাতা হিসেবে হাফিজিয়া মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, দাদা হিসেবে দক্ষিণ চর প্যায়ারী মোহন জামে মসজিদ প্রতিষ্ঠা, সওদাগর জামে মসজিদের ভবন নির্মাণে আর্থিক সহায়তাসহ সমাজকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন। তাঁর বিয়োগান্তে রেখে যাওয়া আদর্শগুলো ও মানব হিতৈষীমূলক কর্মকাণ্ড তরুণ প্রজন্মের কাছে অনুকরণীয় হয়ে থাকবে। আল্লাহপাক তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নবিস করুন। আমিন।