বাড়ি ফিরে কাঁদলেন অ্যানী

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

ঘরজুড়ে থরে থরে সাজানো তামাররা প্রিয়ন্ময়ীর খেলনা, জুতা আর জামা-কাপড়। বিছানায় পড়ে আছে ছোট্ট বালিশ আর বেডক্লথ। প্রিয়কের কম্পিউটার আর বাঁধাই করা কয়েকটা ছবির ওপর পড়ে আছে ধুলোর আস্তরণ। সুনসান নীরব নিস্তব্ধ বাড়িটিতে শুধু নেই প্রিয়ক আর তার কন্যা প্রিয়ন্ময়ী।

দোতলা বাড়ির উঠানে নিজের হাতে গড়া ছোট্ট সেই ফুল বাগানটিতেই পাশাপাশি শুয়ে আছে বাবা আর তিন বছরের মেয়ে। কবরের ওপর লাগানো সবুজ ঘাসগুলোও সতেজ হয়ে উঠছে। স্বামী আর মেয়ের ওই কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হাউমাউ করে কেঁদে উঠলেন নেপালের কাঠমান্ডু ত্রিভুবন বিমানবন্দরে ইউএস-বাংলার বিধ্বস্ত বিমান থেকে ভাগ্যক্রমে বেঁচে যাওয়া প্রিয়কের স্ত্রী আলমুন নাহার অ্যানী। স্বামী-সন্তানের জন্য হাত তুলে দোয়া করলেন প্রভুর দরবারে। এ সময় উপস্থিত সবাই কাঁদতে থাকেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রায় এক মাস চিকিৎসা শেষে অ্যানী মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে থেকে শ্রীপুরের নগর হাওলা গ্রামে পৌঁছান। এ সময় অ্যানীর সঙ্গে পরিবারের সদস্য ছাড়াও স্বজনরা ছিলেন।

স্বামী-সন্তান নিয়ে নেপালে বেড়াতে গিয়েছিলেন অ্যানী। দুর্ঘটনায় তার স্বামী এফ এইচ প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররা প্রিয়ন্ময়ী প্রাণ হারায়। এ ঘটনায় আহত হয়ে দুই দফায় বেশ কয়েকদিন ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। ঢামেক হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরেই অ্যানী বসতঘরে স্বামী আর কন্যার স্মৃতি জড়ানো জিনিসপত্রের দিকে তাকিয়েই কান্নায় ভেঙে পড়েন। অ্যানী বর্তমানে সুস্থ থাকলেও স্বামী-সন্তানের শোকে ভেঙে পড়েছেন। বিমান দুর্ঘটনার পর গত ১৯ মার্চ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে তিনি বাড়ি এসেছিলেন। ওইদিন তার স্বামী-সন্তানের মরদেহ বাড়ি আনা হয়। পরদিন পৃথক দুটি স্থানে জানাজা শেষে স্বামী প্রিয়ক ও মেয়ে তামাররাকে বাড়ির উঠানে সমাহিত করা হয়। এরপর আবার অ্যানীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।