
অমৃত রায়, প্রতিবেদক:: বাঙালির জীবনে চেতনার অনন্য রুপকে সজাগ করে রাখতে সাহিত্যের পদে পদে যিনি জায়গা করে নিয়েছেন অসাধারণ কৃতিত্বের পরিচয় দিয়ে তিনি বাংলার জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। জীবনকাল ১৮৯৯-১৯৭৭ পর্যন্ত হলেও সাহিত্য সাধনার সময়কাল পান নি বিশ বছরের বেশি। জীবনের নানা চড়াই উৎরাই পেরিয়ে দুখু মিয়া থেকে কাজী নজরুল ইসলাম বেঁচে আছেন এখন সকলের অন্তরে।
আজকের এই দিনে অর্থাৎ ১০ জুলাই ১৯৪২ সালে তিনি অাক্রান্ত হয়েছিলেন দুরারোগ্য ব্যাধিতে। হয়েছিলেন শয্যাশায়ী। জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অসুস্থতা কাটিয়ে ফিরতে পারেন নি সাহিত্যের বাতাবরণে পদ চারণা করতে।
তবে তাঁর কৃতিত্বের কথা যদি বলা শুরু হয় তবে তা শেষ হবে না অজস্র বাচনে।
যখন ঝিমিয়ে আসে মন আসে পথে বাঁধা তখনি যেন নজরুলের লেখা প্রাণ ফিরিয়ে আনে।জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাঁর লেখা যেন জাগিয়ে তোলে অনন্য উদ্যম। সাহিত্যের সকল ক্ষেত্রে অসীম অবদানের জন্য তিনি যে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি তা সম্ভব হয় নি বহু লেখকের অনেক বছরের সাহিত্য সাধনার পরেও।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যে মোহমায়ায় মিশিয়ে এক অনন্য নীবর মলিন প্রানের সাহিত্যের রুপ দিয়েছিলেন,নজরুল তা বিদীর্ণ করে এনেছেন এক অনন্য রুপ। তাঁর সাহিত্যের এ বিশেষত্বে যেন বাঙালি খুঁজে পায় জীবনের চেতনার আসল রুপ। পায় প্রাণ,পায় উচ্ছাস আর পায় নতুনত্বের এক নিদারুণ অভিধান।
কবিমনের সকল উচ্ছাসের চিত্র প্রকাশ পায় তাঁর সাহিত্যে।
জাতীয় কবির মহিমায় গুণগান আসে বাঙালি চেতনার অনন্য রুপ নজরুল।