বরিশাল-ঢাকা নৌ রুটে ঈদ যাত্রায় লঞ্চে অসুস্থ যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা, মাস্ক বাধ্যতামূলক

:
: ৪ years ago

করোনার সংক্রমণ এড়াতে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চে অসুস্থ যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে প্রশাসন। এছাড়াও লঞ্চে মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

 

বরিশাল জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ও লঞ্চ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দের সাথে পুলিশ-প্রশাসনের এক যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই নির্দেশনা দেয়া হয়।

 

জেলা প্রশাসক এসএম অজিয়র রহমানের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোক্তার হোসেন, লঞ্চ মালিক সমিতি কেন্দ্রিয় কমিটির সহ-সভাপতি সাইদুর রহমান রিন্টু, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রাজিব আহমেদ, বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক (বন্দর ও পরিবহন) আজমল হুদা মিঠু সরকার, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ মো. শাহজাহান এবং লঞ্চ মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় ঈদ যাত্রায় করোনার সংক্রমণ এড়াতে লঞ্চগুলোকে যাত্রার পূর্বে এবং যাত্রা শেষে অবশ্যই জীবাণুনাশক পানি স্প্রে মাধ্যমে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা, সকলের যাত্রীদের মাস্ক এবং যথাযথ সুরক্ষার সামগ্রীর ব্যবহার নিশ্চিত করা, লঞ্চের ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী যাত্রী পরিবহন করা,

যাত্রার আগে যাত্রীদের টিকেট সংগ্রহ করা, তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে ডেকে বসার ব্যবস্থা করা, টার্মিনালের বাইরে তৃতীয় শ্রেণির যাত্রীদের জন্য আলাদাভাবে টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়। এই সিদ্ধান্ত অমান্যকারী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ও যাত্রীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত হয় ওই সভায়।

কমলাপুর রেলস্টেশনের ঘাস নিয়ে লাইভ করার পর এবার ট্রেনে ওঠার সময় নারী ও বৃদ্ধাদের ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে ফের ফেসবুক লাইভ করলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। বৃদ্ধ মা-বাবা, স্ত্রী ও বাচ্চাদের নিয়ে যারা রেলে চলাফেরা করেন তাদের প্রতি কি একটু সহায় হবেন- এমন আহ্বান জানান তিনি। তিনি প্রশ্ন তোলেন, কেউ যদি বউ-বাচ্চা, বৃদ্ধা মা-বাবাকে নিয়ে ট্রেনে উঠতে চান তা হলে বউ থাকবে কই আর মা-বাবা থাকবে কই। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ফেসবুকে লাইভে এসে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সুমন। লাইভে এসে প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনে ওঠার সিঁড়ির দূরত্ব দেখিয়ে সুমন বলেন, ‘এই ট্রেনটাকে মিটার গেজ (পরে সংশোধন করে বলেন ব্রডগেজ) বলা হয়। আমার প্রশ্ন হলো-প্ল্যাটফ্রম থেকে দূরত্ব বা উচ্চতা কত? ব্রিটিশ আমলের ট্রেনগুলো ছিল এমন। আপনারা (রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ) নতুন ট্রেন আনলেন কিন্তু প্ল্যাটফর্ম এখনো পুরনো।’ রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত লোকদের দেখিয়ে তিনি বলেন, ‘দেখেন সবাই, প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনের উচ্চতা দোতলার সমান। কোনো স্টেশনে ট্রেনটি তিন মিনিট থামে। তিন মিনিটে ৫০ জন মানুষ প্রায় দুই তলার সমান উচ্চতায় ওঠা কি সম্ভব?’ রেলমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলমন্ত্রী, ট্রেন আপনি অনেক উঁচু বানিয়ে দিছেন। আর প্ল্যাটফর্ম এখানে বিট্রিশ আমলের। আমি কমলাপুর সেন্ট্রাল স্টেশন থেকে বলছি। আর গ্রামের স্টেশনগুলোর অবস্থা তো আরও খারাপ। সেখানে ট্রেনে উঠতে তো রীতিমতো যুদ্ধ করতে হয়। বউ বাচ্চা নিয়ে ওঠা একটা বে-ইজ্জতের কারবার।’ তিনি আরও বলেন, ‘দুনিয়া এগোচ্ছে, সব কিছু এগোচ্ছে। রাতারাতি পরিবর্তন করতে পারবেন না। তবে ব্রেইনে আনেন পরিবর্তন করার। আপনারা বউ-বাচ্চা লইয়া ট্রেনে যাতায়াত করবেন কি-না জানি না। তবে, এই প্ল্যাটফর্ম ট্রেনের সমান করতে কোটি কোটি টাকার দরকার পড়বে না। আশা করি রেলমন্ত্রীসহ সকলেই এর প্রতি সদয় হবেন।’ এর আগে (৩০ মে) ব্যারিস্টার সুমন স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর বেড়ে ওঠা ঘাস কেটে পরিচ্ছন্ন করার অনুরোধ জানিয়ে তার নিজের ফেসবুক পেজে লাইভ দেন। এর পরদিনই (শুক্রবার) সেসব ঘাস কেটে পরিষ্কার করে ফেলে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। পরিবারকে গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর জন্য ট্রেনে তুলে দিতে কমলাপুর রেলস্টেশনে গিয়ে ফেসবুক লাইভে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। সেখানে তিনি দেখেন, রেললাইনের ওপর বড় বড় ঘাস জন্মেছে। যা কাটার জন্য কারো সময় নেই। ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘রেলের সময় নিয়ে আমার কোনো অভিযোগ নেই। মোটামুটি ভালোই চলতেছে। এজন্য রেল কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই।’ ওই লাইভে তিনি আরও বলেন, এটা দেশের সবচেয়ে বড় রেলস্টেশন। এটা কেন্দ্রীয় রেল স্টেশন। এ সময় তিনি এক হাত লম্বা লম্বা ঘাস দেখিয়ে বলেন, ‘কিছু লোক লাগিয়ে ঘাসগুলো পরিষ্কার করলে স্টেশনটা অনেক সুন্দর হয়ে যেত।’
৫ years ago