বরিশালে ৫ লাখ নগরবাসীর জন্য ১ জন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে খাদ্য প্রধান বিষয়। আর সে খাদ্য যাতে নিরাপদ হয়, সেজন্য সরকারের থাকে নানান পরিকল্পনা  ও দাপ্তরিক কার্যক্রম। দেশের নাগরিকদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করার জন্য বিএসটিআই, নিরাপদা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগসহ সরকারি নানান দফতর জনগনের খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে বিভিন্ন স্তরে কাজ করে যাচ্ছে। ধারাবাহিকতা নগর এলাকায় বসবাসরত নাগরিকদের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কার্যক্রম পর্যবেক্ষন করার জন্য সিটি কর্পোরেশনও নজরদারী করে থাকে। এজন্য সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের আওতাধীন স্যানিটারি ইনেসপেক্টর বা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকরা মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকেন।

তাদের প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই নগর কর্তৃপক্ষ নিরাপদ খাদ্য অধিকার নিশ্চিতে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়ে থাকে। বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৫ লাখ নগরবাসীর বরিশালে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদনের বেকারি ও ক্ষুদ্র শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে অর্ধশতাধিক।আবার জনগনের চাহিদা পুরনে হোটেল রেস্তরাসহ বিভিন্ন ব্যাবসা পতিষ্ঠান দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। খাবার উৎপাদন ও বিপননের বিভিন্ন পর্যায়ে খাবারের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ১ জন স্যানিটারী ইন্সপেক্টর/নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শবকের পদ রয়েছে কর্পোরেশনের।যার একার পক্ষে বিশাল নগরের নাগরিকদের খাদ্য নিরাপত্তা দেয়াও সম্ভব নয়। সূত্র জানায়, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিতে দেশে বর্তমান সরকার ভোক্তা অধিকার আইন-২০০৯, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ , ফরমালিন নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৫ পাশ করাসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ হাতে নেয়া যাতে দেশের নাগরিকরা নিরাপদ খাদ্য গ্রহন করতে পারে। আর খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন, বিপনন, মেয়াদ, মান পরীক্ষার জন্য খাদ্য পরিদর্শকরা কাজ করে থাকেন। তাদের নিয়মিত তদারকির মাধ্যামে খাদ্য ভেজাল মুক্ত রাখার চেষ্টা করা হয়, পাশাপাশি তাদের তথ্যানুযায়ী ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাসহ ভেজালকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাও গ্রহন করা হয়ে থাকে।

বরিশাল নগরের বাসিন্দা প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান জানান, গ্রামাঞ্চলের চেয়ে সিটি শহরের মানুষের খাদ্য নিয়ে ভেজালের চিন্তা বেশি। কারন শহরে বেকারিসহ প্রকৃয়াজাত খাদ্যের প্রতিষ্ঠান বেশি থাকে। তাই এগুলো নিয়মিতো মনিটরিং করতে নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শকের প্রয়োজনীতা রয়েছে। তবে বরিশালে মাঠ পর্যায়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান ছাড়া কারো তেমন কোন কার্যক্রম চোখে পড়ে না। সেক্ষেত্রে নাগরিকদের জন্য সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষও খাদ্যদ্রব্যের ওপর নজরদারী রাখতে পারে। তিনি বলেন, নগরের মধ্যে থাকা যে কোন প্রতিষ্ঠানকেই কর্পোরেশনের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হয়। পাশাপাশি কর্পোরেশনের যদি নিজস্ব স্যানিটারি ইনেসপেক্টর থাকে তবে তাদের উচিত মাঠপর্যায়ে মনিটরিং করা। এদিকে শহরের ব্যবাসায়ীরা বলছেন, গত বছরের শুরু থেকে এ অব্দি বরিশাল নগরে সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে তেমন কোন কার্যক্রম বা অভিযান চালাতে দেখেন বা শোনেন নি তারা। এ ব্যাপারে ব‌রিশাল সি‌টি ক‌র্পো‌রেশ‌নের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো: ওয়া‌হেদুজ্জামান জানান, জনব‌লের ভা‌রে এম‌নি‌তেই  নু‌য়ে পড়ে‌ছে ক‌র্পো‌রেশন। তবুও একজন‌কে দি‌য়ে এই কার্যক্রম চল‌ছে।