নানা জটিলতায় সংযোজনের ৫ মাসেও চালু হয়নি নগরীর বেলতলা ফেরী ঘাটে সংযোজন করা নতুন ফেরীটি। নতুন ইঞ্জিন স্থাপন ও ওয়ারিং সম্পন্ন না হওয়ায় এখনও পর্যন্ত চালু করা যায়নি এই জনগুরুত্বপূর্ণূ ফেরীটি। ফলে অযত্ন আর অবহেলায় পড়ে পড়ে নষ্ট হচ্ছে সরকারের কোটি টাকার সম্পদ।
কোটি টাকার ফেরি থাকা সত্বেও বিকল্প ফেরী হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আগের সেই “লক্করঝক্কর” ও অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ফেরীটি। যেটি এর আগে চলতে চলতে মাঝ নদীতে বিকল হয়ে যেত।
জানা গেছে, কীর্তনখোলা নদীর উত্তর প্রান্তের বেলতলা খেয়াঘাট পারা হয়ে বরিশাল থেকে মেহেন্দিগঞ্জে যাতায়াত ও চরমোনাইয়ের বাৎসরিক দুটি মাহফিলে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মুসল্লিদের পারাপারের সুবিধার জন্য গত বছরের জুলাই-আগষ্ট মাসে এই ঘাটে ফেরীটি সংযোজন করে বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
কিন্তু সংযোজনের ৫ মাস অতিক্রম হলেও এখনও চালু হয়নি নতুন ফেরীটি। উল্লেখিত ফেরীটি চালু না হওয়ায় প্রতিদিন এই নদী পথে ঝুঁকি নিয়ে ট্রলারে পারাপার হয় যাত্রীবাহী অটো গাড়ি, পণ্যবাহী ছোট ভ্যান ও আলফা-মাহিন্দ্রাসহ অন্যান্য যানবাহন।
এতে করে একদিকে যেমন রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার তেমনি অপর দিকে ঝুঁকি বাড়ছে পারাপারে। এদিকে আগমাী ফাল্গুন মাসেই ঐতিহ্যবাহী চরমোনাইয়ের বাৎসরিক মাহফিল। এই মাহফিলের আগে ফেরী চালু নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।
ফেরী পরিচালনাকারী (চালক) খোকন জানান, নতুন ফেরীটি চালু না হওয়ায় আগের সেই ভাঙ্গাচুড়া ফেরীটাই চালাতে হচ্ছে, যেটা অনেক ঝুকিপূর্ণ এবং মাঝ নদীতে এর আগেও বিকল হয়েছিলো। তিনি বলেন, শীত মৌসুমে নাব্যতা সংকটে ফেরী চলাচল প্রায় সময়ই বন্ধ থাকে।
এ সংকট নিরসনে অতি জরুরী ভিত্তিতে ড্রেজিং (নদী খনন) করা উচিৎ। সম্প্রতি চরমোনাইয়ের গিলাতলী এলাকায় বাংলাদেশ সরকারের আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শনে গিয়েছিলেন বরিশাল জেলা প্রশাশকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগন। তখন ফেরী জটিলতার কারণে সরকারী আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পরিদর্শন করতে ভোলা-বরিশাল মহাসড়ক হয়ে চরমোনাই ঘুরে যেতে হয়েছিল তাদের। এমন ভোগান্তি সাধারণ মানুষের জন্য হরহামেসাই দেখা যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বরিশাল জোন’র অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জানান, যেহেতু বিষয়টি মেকানিক্যাল (যান্ত্রিক) কার্যক্রমের ব্যাপার তাই একটু সময় লাগছে হয়ত। তবে এ বিষয়ে কাগজপত্র দেখে বিস্তারিত জানাতে পারবো।