শয্যা সংকটে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসা সেবার বেহাল দশা। ৫শ’ শয্যার হাসপাতালে রোগী থাকে ২ থেকে ৩ গুণ। এ কারণে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে রোগীদের। কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন ভবন নির্মাণ হলে রোগীদের দুর্ভোগ কমবে।
১৯৭০ সালে তিনশ শয্যা নিয়ে চিকিৎসা সেবা শুরু হয় বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ১৯৮০ সালে শয্যা সংখ্যা পাঁচশতে উন্নীত করা হয়। ২০০৮ সালে শয্যা সংখ্যা এক হাজারে উন্নীত করার প্রস্তাব করা হয়। কিন্তু ১০ বছরেও হয়নি এর বাস্তবায়ন। এ কারণে শতশত রোগীকে শয্যার অভাবে মেঝেতে শুয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে বলে জানান, রোগী ও স্বজনরা।
তারা বলেন, বেড না থাকায় আমাদের নীচে জায়গা হয়েছে। এখানে অনেক ধুলাবালি। হাসপাতালে এসে আমাদের উপকার না হয়ে বরং অপকার হচ্ছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, নতুন ভবন নির্মাণ কাজ শেষ হলে রোগীদের দুর্ভোগ কমবে।
গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রিপন কুমার রায় বলেন, আগামী দেড় বছরের মধ্যে শেষ হবে নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। তখন আর এ সমস্যা থাকবে না।
শয্যা সংখ্যা বাড়াতে ২০০৮ সালে গণপূর্ত বিভাগ একটি ভবন নির্মাণ শুরু করে। ১০ বছরেও শেষ হয়নি এর নির্মাণ কাজ।