বরিশালে লঞ্চ না পেয়ে ফিরে গেছেন হাজার হাজার যাত্রী

লেখক:
প্রকাশ: ৩ years ago

নির্ধারিত সময়ের আগেই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের তদারকিতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকাগামী লঞ্চগুলো ছেড়ে যাওয়ায় ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন লঞ্চে উঠতে না পারা যাত্রীরা। তবে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন প্রথম শ্রেণির যাত্রীরা।

 

কেবিনের টিকিট পেয়েও যেতে পারেননি ঢাকার উদ্দেশে। তাই বাধ্য হয়ে নদীবন্দর থেকেই ফিরে গেছেন তারা। এছাড়া শেষ লঞ্চটি ছেড়ে যাওয়ার পরও লঞ্চ না পেয়ে ঘাটে অপেক্ষমাণ ছিলেন কয়েক হাজার যাত্রী।

পরে এদের মধ্যে একটা অংশ ফিরে গেলেও বাকিরা ঘাটেই বসে থাকেন লঞ্চের অপেক্ষায়। শুক্রবার রাত ৮টার মধ্যে বরিশাল নদীবন্দর থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী ভর্তি করে ছেড়ে যায় বিলাসবহুল ১২টি লঞ্চ। লঞ্চের ছাদগুলোতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই ছিল সব লঞ্চে।

বরিশাল নদীবন্দরে দেখা যায়, রাত ৮টার মধ্যে বরিশাল নদীবন্দর থেকে সব লঞ্চ ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ৭টা থেকেই লঞ্চ ছাড়া শুরু করে। এরপর প্রথম শ্রেণির যারা যাত্রী রয়েছেন তারা নদীবন্দরে আসা শুরু করেন, লঞ্চ না পেয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তারা।

পরে ফিরে যান। পাশাপাশি প্রথম শ্রেণির যাত্রী ছাড়াও বরিশাল নদীবন্দরে ঢাকামুখী যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সুন্দরবন-১০ লঞ্চের কেবিনের যাত্রী ফয়সাল আহম্মেদ বলেন, আমাকে রাত ৮টায় বরিশাল নদীবন্দরে আসতে বলা হয় কাউন্টার থেকে। পৌনে ৮টায় এসেও লঞ্চ পাইনি।

তিন তলায় কেবিন ছিল, পরিবার নিয়ে যাওয়ার কথা। এখন ফিরে যাচ্ছি। লঞ্চ যখন আগেই ছাড়বে, তখন সেভাবে আমাদের বলা উচিত ছিল।সুরভী-৮ লঞ্চের যাত্রী আব্দুস সোবাহান বলেন, এসেছি সাড়ে ৭টায়। লঞ্চ ছেড়ে গেছে ৭টার সময়।

ওদিকে আমাদের বলা হয়েছিল সাড়ে ৮টার আগে লঞ্চ ছাড়বে না। শুধু প্রথম শ্রেণির যাত্রীরাই নয়, লঞ্চ না পেয়ে অন্য লঞ্চের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষকে। পরে সুন্দরবন-১২, রাজারহাট বি ও পূবালী-২ নামের ৩টি ভায়া লঞ্চে কিছু যাত্রী নেওয়া হয়।

 

যারা লঞ্চে উঠতে পারেননি তারা ফিরে গেছেন। অনেকে বাস টার্মিনালের উদ্দেশ্যেও রওনা হয়। সুন্দরবন-১০ লঞ্চের ম্যানেজার মো. জাকির বলেন, কেবিনের অনেক যাত্রী নিতে পারিনি। ম্যাজিস্ট্রেট এসে দ্রুত ঘাট ত্যাগ করতে বলেছেন তাই এ অবস্থা হয়েছে।

 

বরিশাল নদীবন্দর কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, লঞ্চগুলো যাত্রী পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা দুর্ঘটনা এড়াতে সব লঞ্চকে ঘাট ত্যাগ করতে বাধ্য করান।

অতিরিক্ত যাত্রী বহন করায় তিনটি লঞ্চকে জরিমানাও করা হয়। লঞ্চগুলো ঘাট ত্যাগ করানো ছাড়া আমাদের কোনো উপায় ছিল না।