বরিশালে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৬ ব্যক্তি ও ২০ প্রতিষ্ঠানকে ১৭,০০০ টাকা জরিমানা

লেখক:
প্রকাশ: ৪ years ago

করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন বরিশালের নিয়মিত মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করে আসছে তারি ধারাবাহিকতায় আজ ২৬ এপ্রিল সোমবার বরিশালের বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার এর নির্দেশনায় এবং অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট গৌতম বাড়ৈ এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে জেলা প্রশাসন বরিশালের পক্ষ থেকে ৫ টি মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবুগঞ্জ মিজানুর রহমান, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হাই, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অংমাচিং মারমা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা। আজ সরকার ঘোষিত লকডাউন কার্যকর করার এবং বাজার মনিটরিং এর উদ্দেশ্যে বাবুগঞ্জ উপজেলার কলেজগেট, খানপুরা ও রহমতপুর বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্টের অভিযান পরিচালিত হয়। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) বাবুগঞ্জ মিজানুর রহমান। এ সময় স্বাস্থ্য বিধি লঙ্গন ও অতিরিক্ত মুনাফা আদায় করায় ৫ দোকানীর কাছ থেকে মোট ৪,৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এসময় আইনশৃংখলা রক্ষায় সহযোগিতা করেন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের একটি টিম। বরিশাল শহরের কয়েকটি জায়গায় করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আতাউর রাব্বী এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্টের অভিযানে মাস্ক না পরে বাইরে ঘোরাঘুরি করার ৩ জন ব্যক্তিকে ৯০০ টাকা অর্থদন্ড করা হয়। উক্ত অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন। করোনার প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম এর অংশ হিসবে জেলা প্রশাসন বরিশালের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট অংমাচিং মারমা এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করায় ৩জন ব্যক্তি ও ১ টি প্রতিষ্ঠানকে ১,৩০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। উক্ত অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন। বরিশালে মাহেরমজান ও অধিক তাপমাত্রাকে কেন্দ্র করে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে গরমের সুস্বাদু ফল তরমুজ খেটে-খাওয়া মানুষের নাগালের বাইরে বিক্রি হচ্ছে।

কারন হিসেবে দেখা যায় বাজারে ব্যবসায়ীরা তরমুজ কম দামে পিচ হিসেবে ক্রয় করে ক্রেতাদের নিকট অধিক দামে কেজি দরে বিক্রি করছে। প্রতি কেজি তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০/৬০ টাকা করে। এতে একটি ভালো তরমুজ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা করে যা সাধারণ মানুষের জন্য কিনে খাওয়াটা কষ্টসাধ্য। এমতা অবস্থায় আজ ২৬ এপ্রিল সোমবার বিকালে বরিশাল জেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং এর অংশ হিসবে আজ নগরীর বিভিন্ন বাজারে দুইটি মোবাইল কোর্ট টিম অভিযান পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করেন এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হাই ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা। এসময় বরিশাল নগরীর পোট রোড, ফলপট্টি, জেল জানার মোড়, নতুন বাজার, নথুল্লাবাদ বাসস্ট্যান্ড, চৌমাথা বাজার, বাংলা বাজার এলাকায় মোবাইল কোর্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এসময় বাজারে অবস্থানরত ক্রেতাদের অভিযোগের ভিত্তিতে দেখা যায় তরমুজ বিক্রেতারা পিচ হিসেবে তরমুজ কিনে অধিক দামে ক্রেতাদের নিকট কেজি হিসেবে তরমুজ বিক্রি করছে। যা মোবাইল কোর্ট অভিযানে সত্যতা পাওয়া যায় এসময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আবদুল হাই এর নেতৃত্বে ৮ জন ব্যবসায়ীকে ৬,৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয় পাশাপাশি অপর একটি অভিযানে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রয়া ত্রিপুরা এর নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট অভিযানে ৬ জন ব্যবসায়ীকে ৩,৯০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন। উক্ত অভিযানে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের একটি টিম আইন-শৃংখলা রক্ষায় সহায়তা প্রদান করেন। অভিযান শেষে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট বৃন্দ বলেন, জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।