বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) ও জেলায় শুক্রবার (১৬ জুলাই) থেকে পশুর হাট বসেছে। তবে পশুর হাটে শিশু ও বৃদ্ধদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
এ জন্য হাটগুলোতে বাড়তি কড়াকড়ি থাকবে বলে দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা নিশ্চিত করেছেন। বিশেষ করে হাটগুলোতে ইজারাদারদের নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার এবং মাস্ক রাখার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
আর হাটে প্রবেশ ও প্রস্থানে পৃথক গেট করার নির্দেশনা রয়েছে।
এদিকে পশুর হাটে রোগাক্রান্ত পশু শনাক্তকরণসহ সার্বিক বিষয় তদারকির জন্য ৩৮টি পৃথক মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধুমাত্র বরিশাল জেলার ৪৬টি হাটের জন্য থাকবে ৩৭টি টিম।
বরিশাল সিটি করপোরেশন, জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে এই তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আজ শুক্রবার থেকে বরিশাল নগরীসহ জেলার ১০টি উপজেলায় কোরবানির ঈদ উপলক্ষে ৬৮টি পশুর হাট বসছে।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার জানান, গত বছর করোনার কারণে বরিশাল সিটি এলাকায় কোরবানির পশুর চাহিদা পূরণে দুটি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।
এবার বরিশালে করোনা পরিস্থিতি ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বেশি হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
এবারও একই স্থানে অর্থাৎ রূপাতলী শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর ঢালে এবং কাউনিয়া টেক্সটাইল এলাকার বটতলা নামক স্থানে একটি করে মোট দুটি হাটের ইজারা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
১৬ জুলাই থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত অস্থায়ী পশুর হাট দুটি বসবে। এর বাইরে নগরীর কাউনিয়া থানাধীন বাঘিয়ায় একটি স্থায়ী পশুর হাট বসবে।
এসব হাটে স্বাস্থ্যবিধি এবং রোগাক্রান্ত পশু যাচাই-বাছাইসহ সার্বিক দিক মনিটরিংয়ের জন্য বিসিসির ভেটেরিনারি সার্জন ডা. রবিউল ইসলামকে প্রধান করে একটি টিম গঠন করা হয়েছে বলেও তিনি জানান।
বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফত হোসেন জানান, বরিশাল জেলার ১০টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে ইজারা অনুমোদনের জন্য এ পর্যন্ত ৪৬টি পশুর হাটের আবেদন আমরা পেয়েছি।
এর সবগুলোই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর বাইরে আরও ২৩টি স্থায়ী হাট রয়েছে ১০টি উপজেলায়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা হাটের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
অনুমোদনপ্রাপ্ত ৪৬টি হাটের মধ্যে বরিশাল সদর উপজেলায় ৪টি, বাবুগঞ্জে ৮টি, উজিরপুরে ৮টি, বাকেরগঞ্জে ৫টি, গৌরনদী উপজেলায় ২টি, আগৈলঝাড়ায় ২টি, মুলাদীতে ১০টি, বানারীপাড়ায় ১টি এবং হিজলা উপজেলায় ৬টি রয়েছে।
তবে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলায় কোনো অস্থায়ী হাট বসবে না।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের বরিশাল জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তা ডা. মো. নুরুল আলম জানান, জেলায় ৪৬টি অস্থায়ী এবং ২৩টি স্থায়ী পশুর হাটের জন্য ৩৭টি মেডিকেল টিম কাজ করবে।
রোগাক্রান্ত গরু শনাক্ত এবং কৃত্রিম উপায়ে গরু মোটাতাজা করা হয়েছে কি-না তা তদারকি করা হবে।
তিনি বলেন, শিশু ও বৃদ্ধদের হাটে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ক্রেতাদের পক্ষ থেকে দুইজনের বেশি প্রবেশ করতে পারবেন না।