আকবর হোসেন ও মনিরুল ইসলাম জন্মান্ধ, শারীরিক প্রতিবন্ধী (পঙ্গু) আব্দুল মাজেদ তাঁদের প্রতিবেশী। তিনজনই সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার বাসিন্দা। ছোট ভাই আকবর হোসেন হ্যান্ড মাইকে আকুতি-মিনতি করে ভিক্ষা চান, বড় ভাই মনিরুলের কাছ থাকে ভিক্ষার টাকা, আর সহযোগী আব্দুল মাজেদ পথ দেখিয়ে চলেন।
সাতক্ষীরা থেকে পিরোজপুর ঘুরে গত শুক্রবার বরগুনা আসেন এই তিনজন। শুক্রবার সকাল থেকে দিনভর শহর ঘুরে মাইকে ভিক্ষাবৃত্তি করেন। রাতে বরগুনা শহরের লঞ্চঘাট মসজিদে আশ্রয় নেন। দিনভর ভিক্ষা করে তাঁদের জমা হয় দুই হাজার দুইশ টাকা। টাকা গুনে মনিরুল ইসলামের জামার পকেটে রেখে তিনজনই মসজিদে ঘুমিয়ে পড়েন। সকালে উঠে দেখতে পান জামার পকেটে রাখা টাকা উধাও।
মনিরুল বলেন, ‘আমরা তিনজনই রাতে লঞ্চঘাট মসজিদে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালে উঠে দেখি পকেটের টাকা নেই। আমাদের টাকা সব চুরি হয়েছে।’
বড় ভাই আকবর হোসেন বলেন, ‘আমাদের তিনজনের এত কষ্টের টাকাও চোরে নিয়ে গেল? কী আর করার, আবার পথে নেমেছি, যদি আল্লায় দেয়।’
লঞ্চঘাট মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রইসুল আলম রিপন বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক ও লজ্জাকর। মসজিদের বারান্দা খোলা থাকে যাতে অসহায় লোকজন রাতে আশ্রয় নিতে পারে। কিন্তু সম্প্রতি চুরির ঘটনা ঘটছে। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে দেখছি। এ ব্যাপারে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সহায়তা চেয়েছি।’
বরগুনা সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহম্মেদ বলেন, ওই মসজিদে রাতে আরও কারা ছিল আমরা খোঁজ নিচ্ছি। চোরকে শনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।