প্লাস্টিক-পলিথিন বর্জ্য পদার্থকে জ্বালানিতে রুপান্তর করার পদ্ধতি আবিষ্কার জবি শিক্ষকের।

লেখক:
প্রকাশ: ২ years ago

অমৃত রায়, জবি প্রতিনিধি:: বর্তমানে জ্বালানি সংকট এবং প্লাস্টিক দূষণ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উল্লেখযোগ্য সমস্যা। এ সমস্যা থেকে মুক্তি লাভের জন্য একটি চমৎকার প্রকল্প উদ্ভাবন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান। তার সাথে এই প্রকল্পের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছিলেন বিএসসি (অনার্স) স্নাতক ছাত্র জুনায়েদ মাহমুদ শুভ।

প্রকল্পটি হলো পরিবেশ দূষণকারী বর্জ্য প্লাস্টিককে তরল জ্বালানীতে রূপান্তর করা। উক্ত প্রকল্পটি ৩১ অক্টোবর ২০২২-এ European Journal of Inorganic Chemistry, Wiley (EurJIC)-নামে একটি বিখ্যাত আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।জার্নালের প্রভাব ফ্যাক্টর হল ২.৫৫১। প্রকল্পটির শিরোনাম ছিলো Catalytic pyrolysis of single-use waste polyethylene for the production of liquid hydrocarbon using modied bentonite catalyst”।

এই গবেষণার মূল উদ্দেশ্য ছিল একক-ব্যবহারের বর্জ্য পলিথিনকে জ্বালানিতে রূপান্তর করে পরিবেশ রক্ষা করা। এই প্রকল্পে সহযোগিতা করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. নাফীস আহমেদ, ড. জয়ন্ত কুমার সাহা এবং রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. সুব্রত চন্দ্র রায়। তাছাড়া জবির দুই ছাত্র যারা এই প্রকল্পে কাজ করেছে তারা হলেন বিএসসি (অনার্স) স্নাতক জুনায়েদ মাহমুদ শুভ এবং এমএসসি গ্র্যাজুয়েট মোঃ আরিফুল রহমান।

ডক্টর মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান বলেন, “এই প্রকল্পটি আমাদের দেশে একটি বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারে। বর্তমানে বাংলাদেশে জ্বালানি সংকট এবং প্লাস্টিক দূষণ একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা বর্জ্য প্লাস্টিককে জ্বালানিতে রূপান্তর করতে পারি। পরে এই জ্বালানিকে বানিজ্যিক কাজে ব্যবহার করা যাবে। তাছাড়া এই জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যেতে পারে কারন জ্বালানীর বেশিরভাগ অংশই ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিন থেকে আসে। আমরা যদি বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে গবেষণার জন্য বড় আকারের তহবিল পাই, তাহলে আমরা বড় আকারে উৎপাদনের জন্য একটি প্লাস্টিক রিসাইক্লিং প্ল্যান্ট স্থাপন করতে পারব।

আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক-পলিথিন রয়েছে। ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদী এবং অন্যান্য নদী, খাল থেকে প্লাস্টিকগুলিকে ডিজেল, পেট্রোল এবং কেরোসিনে রূপান্তরিত করা যাবে। সেই সাথে পরিবেশের উপর বর্জ্যের প্রভাবও লাঘব পাবে। ডক্টর মোহাম্মদ মাহমুদুর রহমান আরো বলেন,আমি গর্বিত যে আমার স্নাতক ছাত্র শুভ এই চমৎকার প্রকল্পটি উদ্ভাবন করেছে। আমাদের স্নাতক এবং এমএসসি শিক্ষার্থীদের গবেষণার প্রতি আরো উৎসাহিত করা উচিত। তাহলে ভবিষ্যতে আরো অভাবনীয় সাফল্য বয়ে আনবে।