প্রেমের টানে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশে আসেন ভারতীয় এক তরুণী। গিয়ে ওঠেন উপজেলার কলাউরা গ্রামে প্রেমিক আব্দুস সাত্তারের (২৭) বাড়িতে। এরপর মোবাইল ফোনেই বিয়ে করেন বাহরাইনে থাকা আব্দুস সাত্তারকে। কিন্তু বিজিবি জানার পরই ঘটে চরম বিপত্তি।
বুধবার (১৬ সেপ্টেস্বর) রাতে অনুপ্রবেশের অপরাধে বিজিবি ওই তরুণীকে আটক করে দোয়ারাবাজার থানায় সোপর্দ করে। পুলিশ বৃহস্পতিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) তাকে আদালতে সোপর্দ করলে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ওই তরুণীর নাম মঞ্জুরা বেগম (২০)। তিনি ভারতের আসাম প্রদেশের কামরুপ জেলার চাংসারি থানার টাপার পাথার গ্রামের মুগুর আলির মেয়ে। গত মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর) তিনি দোয়ারাবাজার সীমান্তের বাংলাবাজার এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করেন।
স্থানীয়রা জানান, কলাউড়া গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে আব্দুস সাত্তার পাঁচ বছর আগে একটি মামলায় আসামি হলে পালিয়ে যান ভারতের আসামে। সেখানেই মঞ্জুরা বেগমের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বছরখানেক পরে সাত্তার চলে আসেন বাংলাদেশে। এরপর তিনি বাহরাইন চলে যান। দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক চলতে থাকে। গত মঙ্গলবার বাহরাইন থেকে ওই তরুণীকে ঠিকানা দিয়ে বাংলাদেশ চলে আসার জন্য বলেন আব্দুস সাত্তার। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে বাংলাদেশে চলে আসেন ওই ভারতীয় তরুণী। সাত্তারের ছোট ভাই ইমরান দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে তরুণীকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। পরে মঞ্জুরা বেগমের সম্মতিক্রমে মোবাইলের মাধ্যমে বাহরাইনে অবস্থানরত সাত্তারের সঙ্গে তার বিয়ে হয়।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে বিজিবি খবর পেয়ে অনুপ্রবেশের অপরাধে মঞ্জুরা বেগমকে আটক করে। অনুমতি ছাড়া বাংলাদেশে প্রবেশ করার কারণে মঞ্জুরা বেগমের বিরুদ্ধে দোয়ারাবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে রাতেই তাকে থানায় সোপর্দ করে বিজিবি।
দোয়ারাবাজার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজির আলম জানান, বৃহস্পতিবার ওই তরুণীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।