প্রধানমন্ত্রীর বরিশাল সফরে দায়িত্ব পালন করবে এক হাজার ৬৮ জন পুলিশ সদস্য

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

আন্তর্জাতিক মানের সেনাবাহিনী গড়ে তুলতে স্থাপিত হতে যাচ্ছে প্রধানমন্ত্রীর নামে “শেখ
হাসিনা সেনানিবাস”। দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত করতে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী দেশের
৩১তম নতুন এ সেনানিবাসের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধণ করতে বরিশালে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে নতুন সেনানিবাস সম্পর্কে বরিশাল জেলা আওয়ামীলীগের
সভাপতি আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ এমপি বলেন, বরিশালে সেনানিবাস স্থাপন করতে হবে এ চিন্তা
কারও মাথায় ছিলোনা। এমনকি সেনাবাহিনীর মাথায়ও ছিলোনা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর মাথায় এ চিন্তা আসে।

তিনিই একটি নতুন সেনানিবাস স্থাপনের পরামর্শ দেন। তাই তার নামেই এ সেনানিবাসের নামকরণ করা
হয়েছে। আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ আরও জানান, উপকূলীয় এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে দেশের ৩১তম নতুন ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’টি স্থাপন করা হবে বরিশাল ও পটুয়ালী জেলার পায়রা নদীর কাছে লেবুখালীতে। জাতীয় সংসদের প্যানেল স্পীকার ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি জানান, অনুমোদিত প্রকল্প এলাকায় ১৯৭৫ সাল থেকে চর সৃষ্টির মাধ্যমে এসব জমির সৃষ্টি হয়েছে। অদ্যবর্ধি এখানে কোন জনবসতি গড়ে ওঠেনি। ফলে ঘরবাড়ি বা স্থাপনার কোন ক্ষতিপূরণ বা পুর্ণবাসনের প্রয়োজন হবেনা।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব জিন্নাতুন নাহার শাহানা বলেন, গত বছরের ১৫ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় চূড়ান্ত অনুমোদনে মোট ১০টি প্রকল্পের তালিকার এক নম্বরে আছে প্রকল্পটি। তিনি আরও জানান, অধিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই দক্ষিণাঞ্চলবাসীর স্বপ্নের প্রকল্পের “শেখ হাসিনা সেনানিবাস’ কাজ খুব দ্রুত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসম্পাদক ও বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসন থেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৮ ফেব্রুয়ারী বরিশাল সফরে এসে বাকেরগঞ্জের লেবুখালীতে ‘শেখ হাসিনা সেনানিবাস’র ভিত্তি প্রস্থর স্থাপনের উদ্বোধণ করবেন।

পরে ৩১টি উন্নয়ন প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর ও ৩৭টি প্রকল্পের উদ্বোধণ করে বিকেলে আওয়ামীলীগ সভাপতি ও
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে আওয়ামীলীগের বিশাল জনসভায় প্রধানঅতিথি
হিসেবে ভাষন দিবেন। এর আগে সর্বশেষ ২০১২ সালের ২১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী বরিশাল সফর করেছেন।

পাঁচটিস্থানে দায়িত্ব পালন করবে এক হাজার ৬৮ জন পুলিশ সদস্য ॥ বঙ্গবন্ধু উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর জনসভাস্থলসহ
পাঁচটিস্থানে আইন শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে এক হাজার ৬৮ জন পুলিশ সদস্য। এছাড়া বরিশাল
শহরকে ব্যাপকভাবে নজরে রাখার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি জনসভারদিন মেডিক্যাল ও সিভিল সার্জনের
পক্ষ থেকে চারটি মেডিক্যাল টিম, চারটি এ্যাম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হবে। সিটি কর্পোরেশন থেকে ছয়টি

পয়েন্টে ১২টি পানির ট্যাংকে দুইহাজার লিটার পানিসহ সার্কিট হাউজ ও জনসভাস্থলে নিরবিচ্ছিন্ন
বিদ্যুতের জন্য দুইটি জেনারেটর প্রস্তুত রাখা হবে। একইসাথে বিএনপি ও জামায়াতের নেতাকর্মীদের ওপর
প্রতিটি এলাকায় কঠোর নজরদারী রাখা এবং নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, বাসা বাড়িতে নতুন

মেহমান, ভাড়াটিয়াদের প্রতি নজর বৃদ্ধি করা হবে। রবিবার সকালে মেট্রোপলিটন পুলিশের উদ্যোগে আইন শ
ৃঙ্খলা বিষয়ক প্রস্তুতি সভায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ কমিশনার এসএম রুহুল আমিনের সভাপতিতে
¡ অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট
তালুকদার মোঃ ইউনুস এমপি, মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, জেলা
আওয়ামীলীগ নেতা মাহাবুব উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম, শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডাঃ আবুল ফজল,
সিভিল সার্জন ডাঃ মোঃ মনোয়ার হোসেন, গোয়েন্দা সংস্থার (ডিজিএফআই) সিইও কর্নেল

শরিফুজ্জামান, বরিশাল র‌্যাব-৮ এর সিইও উইং কমান্ডার হাসান ইমন আল রাজিব প্রমুখ। ডিজিএফআই এর সিইও
কর্নেল শরিফুজ্জামান বলেন, জনসভাস্থলের আশপাশের কোন মসজিদ, মাদ্রাসায় তাবলীগ জামাতের কোন অনুষ্ঠান
থাকলে তা স্থগিত করাসহ নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেল, বাসা বাড়িতে আসা কোন নতুন মেহমান,
ভাড়াটিয়া, দাগী জামিনপ্রাপ্ত চিহ্নিত আসামিদের প্রতি নজর বৃদ্ধি করা হবে। অন্যদিকে জনসভাস্থলে থাকা
হোটেল গ্রান্ডপার্ক হোটেলে আটজন বিদেশী নাগরিককে ৮ ফেব্রুয়ারী সকালের নাস্তা খেয়ে হোটেল
ত্যাগ করার পাশাপাশি অন্যকাউকে না রাখার জন্য হোটেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কমিশনার

এসএম রুহুল আমিন বলেন, পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে স্টেডিয়াম ও সেক্টর এলাকায় ১৮৭ জন, বঙ্গবন্ধু উদ্যানের
জনসভাস্থলে ৩২৫ জন, জনসভাস্থলের আশপাশ এলাকার ভবন ও ছাঁদে ১৭৮জন, সার্কিট হাউজ এলাকায় ১৪২ জন ও
ট্রাফিক বিভাগের ২৩৬ জন পুলিশ সদস্য পাঁচ সেক্টরে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।