প্রধানমন্ত্রীকে ‘না’ বলা অসম্ভব, অবসর ভেঙে তামিম

লেখক:
প্রকাশ: ১ বছর আগে

অবসর ভেঙে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরছেন তামিম ইকবাল। অবসর ঘোষণার প্রায় ৩০ ঘণ্টা পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর অবসর প্রত্যাহার করেছেন তিনি। তবে, ক্রিকেটে ফিরবেন আরও দেড় মাস পর। এ কয়দিন বিশ্রামে থাকবেন দেশসেরা ওপেনার।

অবসর প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়ে শুক্রবার (৭ জুলাই) তামিম ইকবাল বলেন, ‘আজকে দুপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে উনার বাসায় দাওয়াত করেছেন। অনেকক্ষণ আমরা আলোচনা করেছি। উনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন খেলায় ফিরে আসতে। আমি আমার অবসর এই মুহূর্তে ফিরিয়ে নিচ্ছি।’

 

এর আগে গতকাল দুপুরে চট্টগ্রামে অবসর ঘোষণা দিয়ে তামিম বলেছেন, ‘গতকাল আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিই ছিল আমার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। এই মুহূর্তেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিচ্ছি।’

তামিমের এমন ঘোষণার পর রাতে রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে জরুরি বৈঠক ডাকে বিসিবি। সেখানে তামিমের অবসর গ্রহণ না করে অপেক্ষার সিদ্ধান্ত হয়। পরে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেন, ‘আমি যেহেতু মেসেজ দিয়েছি, আমাকে অপেক্ষা করতেই হবে তার কাছ থেকে কোনো উত্তর আসে কি না। আশা করব, আমাদের সঙ্গে কথা বলে এটার কোনো সমাধান পাওয়া যায় কি না।’

রাত পোহালে সকালে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুসহ ঢাকায় যান তামিম। অন্যদিকে, সাবেক অধিনায়ক মাশারাফি বিন মুর্তজা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য সময় নিয়ে রাখেন। এরপর দুপুরে তামিমকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন গণভবনে যান। কিছুক্ষণ পর প্রধানমন্ত্রী ডেকে নেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। সেই বৈঠকে বরফ গলে।

 

অবসর ভেঙে ফেরার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গণভবনের সামনে সংবাদমাধ্যমকে তামিম বলেন, ‘আমি সবাইকে না বলতে পারি, কিন্তু দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিকে না বলা আমার জন্য অসম্ভব। পাপন ভাই, মাশরাফি ভাই অনেক বড় প্রভাব রেখেছেন। মাশরাফি ভাই আমাকে ডেকে এনেছেন, পাপন ভাই সঙ্গে ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী আমাকে দেড় মাসের একটা ছুটিও দিয়েছেন। আমার যা চিকিৎসা আছে বা মানসিকভাবে যদি আমি ফ্রি হতে পারি… তারপরে যে খেলাগুলো আছে, আমি ইনশাআল্লাহ খেলব।’

অবসর প্রত্যাহার করলেও তামিম অধিনায়ক থাকবেন কি না, সে সিদ্ধান্ত এখনো নেননি। আপাতত তিনি বিশ্রামে থাকছেন এশিয়া কাপের আগ পর্যন্ত। বিশ্রামের পর মূলত তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন, কিভাবে খেলায় ফিরবেন।

তামিম দলে ফিরলে অধিনায়ক থাকবেন কি না, এমন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘আরে, আমাদের অধিনায়ক যদি না থাকে, তাহলে খেলব কী করে?’