#

সোহেল আহমেদ:  একজন আবদুল্লাহ জামান। পুরোনাম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার সরকারি আমলা উদীয়মান স্বপ্ন নায়ক। পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার নির্বাহি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন। ধনী গরিব দুস্থ অসহায় জনগনের কিতৃমান মহান পুরুষের একজন গুনী এই ব্যক্তি। পদোন্নতি পেয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা ছেড়েছেন। একদিকে অভিনন্দন,অন্যদিকে প্রিয় মানুষের চলে যাওয়ায় হাহাকার করছে জেলার জনসাধারণ। কি এমন কাজ করেছিলেন আবদুল্লাহ জামান?

তথ্যানুসন্ধানে জানাগেছে,আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান তিন বছর আগে বাউফল উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) হিসেবে যোগদান করেন। যোগদান করেই উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেরর সাধারন মানুষদের ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতির আওতায় এনে প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নে মুখিয়ে ছিলেন। গ্রাম্য সাধারন মানুষ থেকে শুরু করে পেশাজীবী,সাংবাদিক, সরকারি কর্মকর্তা,স্থানিয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের সকল উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে সমন্ময় সাধন করেন। নিজ কর্মদক্ষতা প্রনয়নে শুরু করেন পথচলা।

সাধারন মানুষের সরকারের সব ধরনের সুযোগ সুভিধা প্রদানের জন্য উপজেলা প্রশাসন বাউফল নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ চালু করেন। নানা শ্রেনি পেশার হাজার হাজার নাগরীক গ্রুপে যুক্ত হয়। ওই ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমেই মুলত সরকারি আমলা আবদুল্লাহ জামান দুস্থ অসহায় মানুষের দোরগোড়ায় পৌছে যান।

উপজেলাবাসী তাদের ব্যক্তিগত থেকে সামাজিক সমস্যা গ্রুপে তুলে ধরেন। ফলে ইফটিজিং,বাল্য বিবাহ,মাদক,সন্ত্রাস, ঘুষবানিজ্য,জুয়া,চাঁদাবাজি,বয়স্কা ভাতার অনিয়ম,নকল প্রবনতা ইত্যাদি নানামুখী সমস্যার এন্টিবায়টিক রুপে আবির্ভুত হন আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। যেখানেই সমস্যা সেখানেই তার তাৎক্ষনিক সিদ্ধান্তে ভিষন উপকৃত সাধারন মানুষ। চলতি বছরে এইচ এস সি পরীক্ষা নকলমুক্ত করতে প্রত্যেকটি কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে সফলতা পান এই কর্মচঞ্চল কর্মকর্তা। তার এই কৌশলী পদক্ষেপ বাউফল ছাড়িয়ে সমগ্র বিভাগে প্রশংসার অলংকারে আলোকিত ইউএনও।

গ্রামের মেঠো পথে হেটে হেটে হতদরিদ্র মানুষের দু:খ দুর্দশার চিত্র প্রত্যক্ষ করেছেন সরেজমিনে। সরকারের নিয়মের মধ্যে থেকে সবটুকুই সহোযোগীতা করেছেন। ফুটবল,কাবাডিসহ বিভিন্ন খেলাধুলাসহ সাংস্কৃতিক অনুস্ঠানের অায়োজনে যুবসমাজকে মাদক থেকে দুরে রাখার চেস্টা করেছেন। অনুন্নত শিক্ষাব্যবস্থার গতি বাড়ানোয় শিক্ষা প্রতিস্টানে শিক্ষা উপকরণ,অর্থসহয়তা করেছেন। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ অর্থসহয়তা দিয়ে উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের প্রতি উৎসাহিত করেছেন।

শুধু কি তাই! উপজেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে সরকারের নেয়া কর্মসূচির দৃশ্যমান বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ করেছে পটুয়াখালীর জনসাধারণ। গরু,ছাগল,রিকশাসহ নানা সামগ্রী প্রদান করে এক যুগান্তকারী আলোরন সৃস্টির নায়ক আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তার এসব কর্মগুনে কর্মবীরের পরিচিতি পেয়েছেন। নির্বাচিত হয়েছেন জেলার শ্রেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে। সরকারি সিকৃতিপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তার মানুষের সেবাদানে ডিজিটালাইজেশন পদ্ধতি যখন অনেকটাই দৃশ্যমান, তখনই বিদায় ঘন্টার সুর!

সম্প্রতি জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের এক আদেশে পদন্নোতি পেয়ে যান বাউফলবাসীকে স্বপ্ন দেখানো ইউএনও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান। তার পদোন্নতিতে একদিকে অভিনন্দন বার্তা,অপর দিকে প্রানের মানুষের টানে বুকফাটা আর্তনাদে কাতর বাউফলের সর্বস্তরের জনসাধারণ ।

গতকাল সোমবার যাবার প্রাক্কালে তিনি হাজার মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হন। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের এডিসির দ্বায়ীত্ব মাথায় নিয়ে ছেড়ে যান প্রিয় বাউফলবাসীকে। বিদায়ক্ষনের অনুভুতি জানতে চাইলে জনপ্রিয় অনলাইন প্রত্রিকা বাংলা আর্থ টাইমস ২৪ডটকম-কে মুঠোফোনে জানান,আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে সর্বাত্মক চেস্টা করেছি। উপজেলা থেকে শুরু করে জেলার সকল গুনী মানুষের সাথে পেয়েছি সর্বদাই। সহোযোগীতা পেয়েছি স্থানিয় সব পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের। ফলে মানবতার সেবায় নিজেকে ব্যস্ত রেখেছি সবসময়। বাউফলের মানুষের মন অত্যন্ত আন্তরিক উল্লেখ করে তিনি বলেন তারা (বাউফলবাসী) আমাকে যে পরিমান সহোযোগীতা ও ভালোবাসা দিয়েছেন,তার জন্য চিরোকৃতজ্ঞ উপজেলাবাসীর কাছে। এক প্রশ্নের উত্তরে, বিগত সময়ে যেভাবে প্রশাসনিক কার্যক্রম চলেছে তার ধারাবাহিকতা অব্যহত রাখতে সংশ্লিষ্ট কর্মতাদের আহব্বান জানান সদ্য বিদায়ী ইউএনও আবদুল্লাহ আল মাহমুদ জামান।

উত্তর দিন

Please enter your comment!
এখানে আপনার নাম লিখুন