‘প্রতিবন্ধী-ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা’

:
: ৬ years ago

সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা থাকবে না জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর আলাদা ব্যবস্থা করা হবে।

কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে বুধবার জাতীয় সংসদে দেওয়া বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা [আন্দোলনকারীরা] যেহেতু চায় না তাহলে কোটা থাকারই দরকার নেই। প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আলাদা ব্যবস্থা আমরা করতে পারবো।’

বুধবার বিকেল ৫টার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে দশম জাতীয় সংসদের ২০তম অধিবেশন শুরু হওয়ার পর প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকারদলীয় সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক কোটা ব্যবস্থা সংস্কার দাবিতে চলমান আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে নির্দেশ দেই এটা পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য। আমাদের সেতুমন্ত্রী তাদের সঙ্গে বসলো। বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখার সিদ্ধান্ত হলো। অনেকে মেনে নিল, অনেকে মানলো না। অনেক রাত পর্যন্ত তারা টিএসসিতে থেকে গেল।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘কাজেই কোনো কোটারই দরকার নাই। আমি মনে করি কোটা থাকলে এরকম আন্দোলন বারবার হবে। কাজেই কোটা থাকারই দরকার নাই। কোটা না থাকলে সংস্কারের প্রশ্নও উঠবে না, আন্দোলনও হবে না।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিবন্ধী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য কী ব্যবস্থা করা যায় তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবকে বলা হয়েছে। যাকে যাকে দরকার নিয়ে তিনি বসে বিষয়টি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবেন।’

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরির ৫৬ শতাংশ বিভিন্ন কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত। কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে গত কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থী ও চাকরি প্রার্থীরা। আন্দোলনকারীদের দাবি, ১০ শতাংশের বেশি কোটায় নিয়োগ দেওয়া যাবে না। গত ফেব্রুয়ারি থেকে টানা আন্দোলন চললেও রোববার তা সহিংস রূপ নেয়। এক পর্যায়ে রোববার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনে হামলা ও ব্যাপক ভাংচুর এবং বাসভবনের বাইরে দুটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

এরপর সোমবার বিকেলে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। বৈঠকে আলোচনার পর সরকারের আশ্বাসে ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার ঘোষণা আসে। তবে আন্দোলন স্থগিত করার সিদ্ধান্তের পরদিনই ফের মাঠে নামেন আন্দোলনকারীরা, যা বুধবারও অব্যাহত থাকে। এই অবস্থায় বুধবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী সংসদে এ বিষয়ে বক্তব্য দেন।