পিরোজপুরে স্ত্রী ও প্রেমিক মেম্বারকে আসামি করে আদালতে স্বামীর মামলা

:
: ২ years ago

স্বামী, সন্তান ও নাতনি ছেড়ে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যের বাড়িতে উঠে পড়ার অভিযোগে ইউপি সদস্য আল-আমীন (৩২) ও স্ত্রী সাহিদা বেগমের (৪১) নামে মামলা করেছেন গৃহবধূর স্বামী মো. বাবুল হাওলাদার।

গতকাল সোমবার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে পিরোজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে নেছারাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেনকে তদন্ত করে আগামী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। আদালতে এ মামলার নম্বর ৫৫৫/২২।

পিরোজপুর নেছারাবাদ উপজেলায় সারেংকাঠি ইউনিয়নে সাহিদা বেগম নামে এক গৃহিণী স্বামী, তিন সন্তান ও নাতনি রেখে ইউপি সদস্য মো. আল-আমীনের ঘরে গিয়ে উঠেছেন। গত রোববার রাতে গৃহবধূ সাহিদা দেড় লাখ টাকার স্বর্ণালংকার এবং ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা নিয়ে ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আল-আমীনের ঘরে ওঠেন।

 

বাদীর দায়ের করা মামলা সূত্রে জানা যায়, বাবুল হাওলাদার একজন স-মিল ব্যবসায়ী। আসামি আল-আমীন ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য। সেই সুবাদে তিনি বাবুলের বাড়িতে বিভিন্ন বিষয়ে খোঁজখবর নিতে যেতেন। তাঁর ঘরে তিন ছেলের দুজনই বিবাহিত। ঘরে একটি নাতনিও রয়েছে।

ব্যবসার সুবাদে বাবুল হাওলাদার প্রায়ই সময় বাইরে থাকতেন। এরই সুযোগে আল-আমীন সাহিদার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে পড়েন। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হয়। তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে বিষয়টি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু ৫ মে দুপুরে প্রতিবেশী বেল্লালের ঘরে তাঁদের দুজনকে অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন ধরে ফেলেন।

এরপরও তিনি স্ত্রীকে বুঝিয়ে পুনরায় ঘরে নিয়ে যান। পরে ঘটনার দিন রোববার রাতে আল-আমীন পুনরায় বাদীর ঘরে এলে স্ত্রী সাহিদা বেগম ঘরের টাকাপয়সা ও যাবতীয় স্বর্ণালংকার নিয়ে ইউপি সদস্য আল-আমীনের হাত ধরে পালিয়ে যান। এবং আল-আমীন সাহিদা বেগমকে তাঁর ঘরে তোলেন।

 

এ বিষয়ে নেছারাবাদ থানার ওসি আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি এখনো পুরোপুরি জানি না, কি হয়েছে! তবে শুনেছি এ নিয়ে কোর্টে মামলা হয়েছে। তার তদন্তভার আমাকে দেওয়া হয়েছে।’ সারেংকাঠি ইউনিয়নের সংরক্ষিত ইউপি সদস্য সুচিত্রা রানি বিশ্বাস বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একটা মীমাংসায় বসেছিলাম।

 

 

ওই গৃহবধূ সাহিদা বেগম আল-আমীনকে বিয়ে করতে চায়। অথচ, ইউপি সদস্য আল-আমীন এখন রাজি নয়। গৃহবধূর দাবি আল-আমীন এখন তাঁকে বিয়ে না করলে তাঁর আত্মহত্যার পথ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই। এরপর থেকে ইউপি সদস্য আল-আমীন সটকে পড়েছে।’

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একটা মীমাংসার চেষ্টা করেছিলাম। পরে তা সম্ভব হয়নি।’