অভিনেতা-নাট্যকার কায়েস চৌধুরী আর নেই। আজ বৃহস্পতিবার রাত ৭টা ৩০ মিনিটে রাজধানীর নিজ বাসায় মারা যান তিনি। দীর্ঘদিন ধরে কিডনি রোগে ভুগছিলেন কায়েস চৌধুরী।
দ্য ডেইলি স্টারকে তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন অভিনয় শিল্পী সংঘের সভাপতি শহীদুজ্জামান সেলিম। তিনি বলেন, ‘আমাদের সবার অতি আপনজন কায়েস চৌধুরী আজ না ফেরার দেশে চলে গেলেন। আরও একটি শূন্যতা তৈরি হলো।’
প্যাকেজ নাটকের শুরুর সময় থেকেই নাট্যকার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন কায়েস চৌধুরী। নাট্যপরিচালক হিসেবেও আলোচনায় আসেন ওই সময় থেকেই।
অভিনয় ও নাটক পরিচালনা ছাড়াও শিক্ষকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি।
বিটিভির আলোচিত ধারাবাহিক নাটক ‘না’-এর নাট্যকার ও পরিচালক ছিলেন তিনি। নাটকটিতে অভিনয় করেন—তানিয়া আহমেদ, টনি ডায়েস ও সমু চৗধুরী প্রমুখ। প্যাকেজ নাটক শুরুর পর থেকে অন্যতম আলোচিত ধারাবাহিক নাটক ছিল ‘না’।
‘না’ ধারাবাহিক নাটকের পর তিনি পরিচালনা করেন ‘স্বপ্ন’ এবং ‘তুমি’ নামের একটি ধারাবাহিক নাটক। ‘তৃতীয় নয়ন’ তার পরিচালিত আরও একটি ধারাবাহিক নাটক।
তার অভিনীত আলোচিত নাটক হলো ‘স্বপ্ন মরুভূমি’। এই নাটকটি পরিচালনা করেছিলেন চয়নিকা চৌধুরী।
সাইফুল ইসলাম মান্নু পরিচালিক ধারাবাহিক নাটক ‘গরিবের কপালে শান্তি নাই’ নাটকে অভিনয় করেছিলেন কায়েস চৌধুরী। এ ছাড়া, বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি।
এক সময় খ্যাতিমান চলচ্চিত্র পরিচালক দেওয়ান নজরুলের প্রধান সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তিনি। তারপর দেশের বাইরে ছিলেন অনেকদিন। ফিরে এসে প্যাকেজ নাটক পরিচালনা শুরু করেন।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রযোজক সমিতির সাবেক সভাপতি খোরশেদুল আলম খসরু বলেন, ‘আমার প্রযোজনায় কয়েকটি নাটক পরিচালনা করেছিলেন কায়েস চৌধুরী। খুব ভালো একজন মানুষ ছিলেন।’
তার হাত ধরে অনেক শিল্পী উঠে এসেছেন। তার সহকারী পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম একজন হলেন, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক সাইফুল ইসলাম মান্নু।
এ ছাড়া, নাট্যপরিচালক সতীর্থ রহমান রুবেলও তার সহকারী পরিচালক ছিলেন।
অভিনয় শিল্পী সংঘের সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব নাসিম বলেন, ‘কায়েস চৌধুরীর জানাজা আগামীকাল বাদ জুমা ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদ প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠিত হবে। তারপর মিরপুর শহীদ বুদ্বিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।’