নিখোঁজের ১৬ মাসেও সন্ধান মেলেনি স্কুলছাত্রী সোহেলি জান্নাত সেতু’র

:
: ২ years ago

বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ও্টরা ইউনিয়নের মশাং গ্রামের মোঃ শাহাদাত খানের মেয়ে সোহেলী জান্নাত সেতু বয়স ১৬ বছর। ২০২১ শিক্ষাবর্ষে এসএসসি পাস করে। মেয়েকে নিয়ে শাহাদাত খান বরিশাল শহরে বসবাস করেন। গত বছরের তিন মার্চ গ্রামের বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার পর সেখান থেকে নিখোঁজ হন।
তখন শাহাদাত খান তার মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে উজিরপুর মডেল থানা একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যাহার নং ২৬০ তারিখ ০৬/০৩/২১। ১৬ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরেও এখন পর্যন্ত তার মেয়ের কোন সন্ধান দিতে পারেনি পুলিশ।
এমন অবস্থায় সাংবাদিকদের সরনাপন্ন হন তিনি। শাহাদাত খান অভিযোগ করে বলেন, আমার বাসার পাশে এমদাদুল নামে একটি ছেলে থাকতো আমার ধারণা সেই ছেলে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে ওই ছেলেকেও আর দেখা যায়নি।
বুধবার (৩ আগস্ট ) বিকেলে সেই ছেলেকে দেখে আমার সন্দেহ হলে জিজ্ঞাসা করার জন্য তার কাছে যাই সে আমাকে দেখার সাথে সাথেই  দৌড়িয়ে পালিয়ে যায়। পরে আমি ইমদাদুলের অভিভাবক তার বাবা-মাকে সংবাদ দিলে তার মা এসে ছেলেকে নিয়ে আসার কথা বললেও এখন পর্যন্ত নিয়ে আসেন নি।
পিরোজপুর জেলার স্বরূপকাঠী উপজেলার  অলংকার কাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কুনিয়ারী গ্রামের সোবহানের ছেলে এমদাদুল। বরিশাল শহরের ২৯ নং ওয়ার্ড লুৎফর রহমান সড়কে ফুফুর বাড়িতে এসে থাকতেন এমদাদুল তখন আমার মেয়ের দিকে কুদৃষ্টি পরে এমদাদুলের।
এমদাদুল অনেকবার আমার মেয়েকে ইভটিজিং করে তা নিয়ে আমি এমদাদুলকে অনেক বকাবকি করছি তারই জেলধরে আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। আমর পরিবার গ্রামের বাড়ি উজিরপুরে বেড়াতে গেলে সেখানে এমদাদুল রাস্তায় অটো রেখে ওত পেতে থাকে। আমার মেয়ে বাড়ির সামনে রাস্তায় আসলে তখন তাকে অটোতে তুলে নিয়ে যায় এমদাদুল। এমদাদুলকে দেখে এলাকার লোকজনের কিছুটা সন্দেহ হলেও তাকে আচ করতে পারেনি।
তাকে জিজ্ঞাসা করছে আপনার বাড়ি কোথায় সে বলছে বানরীপাড়ায়। কিন্তু না খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ইমদাদুলের বাড়ি  স্বরূপকাঠী উপজেলার  অলংকার কাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড কুনিয়ারী গ্রামে।
এদিকে শাহাদাত খান তার মেয়ে নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি খোঁজখবর নিয়ে কোথাও তার সন্ধান না পেয়ে মান সম্মানের কথা চিন্তা করে সাংবাদিকদের কাছে কিছু জানাননি। এমন অবস্থায় তার মেয়ের সন্ধান না পেয়ে এখন তিনি প্রায়ই পাগল। প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে শাহাদাত খানের আকুল আবেদন  যাতে তার মেয়েকে উদ্ধার করে তার কাছে যেন ফিরিয়ে দেয়।