মোঃ নাসির উদ্দিন(জুয়েল)বিশেষ প্রতিনিধিঃ দুমকি উপজেলায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশন না থাকায় প্রায়ই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জনসাধারনের কোটি কোটি টাকার সম্পদ পুড়ে যাচ্ছে। এলাকার বিভিন্ন স্থানে অহরহ অগ্নিকান্ড ঘটার পর দেখা যায়, খবর পেয়ে ১৫ কিমি দূরে পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের বিগ্রেড ঘটনাস্হলে পৌঁছাতে জনসাধারনের ঘরবাড়ি, মালামাল,এমনকি গবাদিপশুও পুড়ে ছাই হয়ে যায়। গত ২’মাসের ব্যবধানে উপজেলার মুরাদিয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চরগরব্দী গ্রামে গত ২৪ মার্চ ২০২১ তারিখ হাফিজুরের টিনসেট বসতঘর, লেবুখালী ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের মেইন রাস্তার পশ্চিম পাশে গত ২৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে জালাল ফরাজীর টিনসেট বসতঘর , পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মোল্লাবাড়ীর জামাল মোল্লার টিনসেট বসতঘর এবং সর্বশেষ গত ৩০ এপ্রিল দিবাগত গভীর রাত আনুমানিক ২.৪৫ মিনিটে আঙ্গারিয়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের রাজা গাফফার উল্লাহর ৩ ছেলে রাজা লতিফ, দুলাল ও আলকেচ উল্লাহর টিনসেট বসতঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
দক্ষিণাঞ্চলের শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান পবিপ্রবির একাডেমিক, প্রশাসনিক ভবন, ছাত্রাবাস,স্টাফ কোয়ার্টারসহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনা, উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্হাপনা, পিরতলা বাজার, দুমকি নতূন বাজার, লেবুখালী ইউনির্ভাসিটি স্কয়ার, আঙ্গারিয়া বন্দর, ধোপার হাট, চরগরব্দী ফেরী ঘাট, রাজাখালী বাসস্টপ এলাকা সহ বিভিন্ন হাটবাজারে দোকানপাট এবং প্রতান্ত এলাকায় যে কোন মুহুর্তে ফায়ার সার্ভিসের অভাবে দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল আশঙ্কা করছেন।
এছাড়াও দুমকি উপজেলা প্রতিষ্ঠার একযুগ পারহওয়ার পরও আজো দুমকিতে ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স স্টেশন স্হাপিত হয়নি বলে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ হতাশায় ভূগছে।তাই উপজেলা বাসির দাবি যাতে একটা ফায়ার স্টেশন খুব তারাতারি স্থাপিত হয়।