দুই রকম প্রশ্নে পরীক্ষা, বিপাকে ভিকারুননিসার পরীক্ষার্থীরা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

রাজধানীর শাজাহানপুরে মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজ কেন্দ্রে বৃহস্পতিবার চলমান এইচএসসি পরীক্ষার জীববিজ্ঞান প্রথমপত্র পরীক্ষায় দুই রকম প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এই কেন্দ্রে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজসহ কয়েকটি কলেজের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা দিচ্ছেন। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন তারা। অভিভাবকরা  জানান, পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর ভিন্ন রকম প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়। কলেজ কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে ঘটনাটি চাপা দিতে প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করে দেন। তবে সব পরীক্ষার্থীর প্রশ্নপত্র পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। ফলে দুই রকম প্রশ্নেই পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (কেন্দ্র সচিব) দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। কলেজের অধ্যক্ষ ও কেন্দ্র সচিব নাজনীন ফেরদৌস বিষয়টি স্বীকার করে সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভুল হয়েছিল।

পরে সংশোধন করা হয়েছে।’ প্রশ্নপত্র পরিবর্তনের মতো গুরুতর ভুল কীভাবে হলো জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যেভাবে প্রশ্ন পেয়েছি। সেভাবেই দিয়েছি। পরে তা সংশোধন করা হয়।’ তবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, কেন্দ্র সচিব সেট কোড বুঝতে ভুল করায় পরীক্ষার্থীদের কাছে ভুল প্রশ্ন চলে যায়। তবে এতে কোনো সমস্যা হয়নি বলে কেন্দ্র থেকে বোর্ডকে জানানো হয়। এ বিষয়ে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘ভুল করে দুই সেট প্রশ্নই বিতরণ করা হয়েছিল। এতে শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না।’ এদিকে এ ঘটনায় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবকে অব্যাহতি দিয়ে মির্জা আব্বাস মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক মমতাজ বেগমকে দায়িত্ব দিয়েছে। শিক্ষা বোর্ডের আদেশে বলা হয়, ‘ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জীববিজ্ঞান প্রথমপত্রের বহু নির্বাচনী পরীক্ষার মিশ্র সেট (এমসিকিউ-১ ও এমসিকিউ- ২) ব্যবহার করেছেন। দায়িত্বে অবহেলা ও পরীক্ষা পরিচালনা নীতিমালা অনুসরণ না করায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হলো।’ আদেশে সহকারী অধ্যাপক মমতাজ বেগমকে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে পরীক্ষা পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়।

পরীক্ষার্থীরা জানান, সকাল ১০টায় প্রশ্নপত্র হাতে পেয়ে তারা বুঝতে পারেন। জীববিজ্ঞান প্রথমপত্রের পরীক্ষায় কেউ ‘লাউ’ সেট, কেউ ‘ওলকপি’ সেট প্রশ্নপত্র পেয়েছেন। পরীক্ষার্থী আফিয়া জাহান (ছদ্মনাম) জানান, তাকে ওলকপি দেওয়ার পর পাল্টে লাউ দেওয়া হয়, আবার পাল্টে ওলকপি দেওয়া হয়। এতে ২০ মিনিটের বেশি সময় নষ্ট হয়েছে। সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে মাত্র ১০ মিনিট। তিনি এমসিকিউ প্রশ্নের উত্তর করার আর সময় পাননি।