শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নানা পদে ডিমের উপর ভরসা রাখেন বেশির ভাগ মানুষ। আট থেকে আশি, ডিম প্রায় প্রতি দিনই সব বাড়িতে কম-বেশি আনা হয়। বাড়িতে ছোট শিশু থাকলে এর প্রয়োজন আরো বেড়ে যায়। কিন্তু ডিম তো আর ফ্রিজ বোঝাই করে বাড়িতে মজুত করা যায় না! তাই প্রায় রোজ দোকানে ছুটতে হয়। তবে আপনি চাইলে ডিম বাড়িতেই সংরক্ষণ করতে পারবেন প্রায় এক বছর পর্যন্ত!
সংরক্ষণের পদ্ধতি:
দোকান থেকে কিনে আনার পর যে ডিমগুলো সংরক্ষণ করতে চান সেগুলো আলাদা করে নিন।
এবার পরিষ্কার একটি পাত্রে ডিমগুলো ফাটিয়ে নিন। ফাটানো ডিমগুলোতে সামান্য একটু লবণ মিশিয়ে ডিমগুলো ফেটিয়ে নিতে হবে। তবে খুব বেশি ফেটানোর প্রয়োজন নেই।
এ বার এই ডিমের গোলাকে ছোট ছোট পাত্রে ভরে ফ্রিজে সংরক্ষণ করুন। বরফ জমানোর ট্রের মধ্যে আইস কিউবের মতো করেও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। এই পদ্ধতিতে ডিম দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যেতে পারে। ভাবছেন স্বাদ এবং পুষ্টিগুণে হেরফের হবে না তো? নিশ্চিন্তে থাকুন। তবে ডিম এভাবে সংরক্ষণের আগে খেয়াল রাখতে হবে ফ্রিজ যেন পরিষ্কার থাকে।
এছাড়া আপনি ডিমের আচার করেও ডিম সংরক্ষণ করেতে পারেন এভাবে:
উপকরণ:
১. ডিম- ১২ টি (ভালো করে সেদ্ধ ও খোসা ছাড়ানো)
২. সাদা ভিনেগার ৪ কাপ (১ লিটার সমপরিমাণ)
৩. পানি ১ কাপ (২৫০ মিলি)
৪. চিনি- ১ টেবিল চামচ (মিহি চিনি হতে হবে )
৫. আচারের মসলা- ২ চা চামচ (১০ গ্রাম )
৬. লবণ- ১ চা চামচ (৫ গ্রাম )
৭. বড় কাঁচের জার ১ টি।
প্রস্তুত প্রণালি:
প্রথমে ডিমগুলো ভালো করে সেদ্ধ করে খোসা ছাড়িয়ে ঠাণ্ডা হতে দিন। (ডিমের ভেতরে যেন কাঁচা না থাকে)
একটি পাত্রে ভিনেগার, পানি, চিনি, আচারের মসলা ও লবণ একসাথে রাখুন।
এবার পাত্রটি চুলায় দিয়ে অল্প আঁচে ১০ মিনিট রান্না করুন। নাড়তে থাকুন চিনি না গলা পর্যন্ত। ( আপনি চাইলে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে আচারের মসলা আলাদা করে ফেলতে পারেন)
একটি কাঁচের জারে ডিমগুলো রাখুন তার উপরে গরম তরলটা ঢেলে দিন। জারের মুখ ভালো করে বন্ধ করুন, যেন বাতাস প্রবেশ করতে না পারে। ঠাণ্ডা করে ফ্রিজে রাখুন।
খাওার আগে অন্তত ২ দিন ফ্রিজে রাখুন।
স্পাইসি করতে চাইলে লিকুইড তৈরি করার জন্য উপরের সব উপকরণের সাথে যোগ করুন। সাথে আস্ত সরিষা, আস্ত ধনিয়া, হলুদ গুড়া, সব ১/৪ চা চামচ। এবং ১০টি লবঙ্গ, ১ টি স্টার আনিস ২টি শুকনো মরিচ, ১টি তেজপাতা, ১ চা চামচ গোলমরিচ। ১ টি মিডিয়াম সাইজ পেঁয়াজ (কুচি করে কাটা)।
এবং ব্যবহারের আগে ফ্রিজে অন্তত ১ মাস রাখুন।
কিছু টিপস:
ডিমের আচারকে সুন্দর মেজেন্ডা কালার করতে চাইলে ১-২ টুকরা সেদ্ধ বিট জারে ছেড়ে দিন।
যদি হালকা সবুজ কালার চান তবে ১-২ টি মেক্সিকান কাঁচা মরিচ (সবুজ) মাঝখান থেকে কেটে দিন।
(যদি ঝাল খেতে না চান তবে মরিচের বিচি ও শিরা কেটে ফেলে দিন। তাজা পালং শাক ভাপে সেদ্ধ করে তারপর কুচি করে কেটে জারে ছেড়ে দিন সুন্দর সবুজ কালার আসবে।এই আচার বাড়িতে স্ন্যাক্স (হালকা খাবার) হিসেবে রাখতে পারেন।সালাদ, স্যান্ডউইচ, পাস্তা, নুডুলস ও চপে ব্যবহার করতে পারেন।