দক্ষিণ আমেরিকায় উড়ল এশিয়ার পতাকা

লেখক:
প্রকাশ: ৬ years ago

বরাবরই কোটার বিপক্ষে অবস্থান বিশুদ্ধ ফুটবল প্রেমীদের। ফিফার সব মহাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার নীতির কারণে প্রতি বছরই ইউরোপ-আমেরিকার বড় বড় দলগুলো শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপের মূল আসরে উঠতেই পারেন না। এবার যার জলন্ত উদাহরণ ইতালি, নেদারল্যান্ডস-চিলির মতো দল। অন্যদিকে ফুটবলের এই ‘কোটা’ পদ্ধতির কারণেই এশিয়া-আফ্রিকা-ওশেনিয়া অঞ্চলের তুলনামূলক ‘দুর্বল’ দলগুলো বিশ্বকাপের মতো আসরে খেলে থাকে। দুর্বল বলার পক্ষে ছোট একটি পরিসংখ্যান তুলে ধরা যাক। ল্যাটিন আমেরিকার বিপক্ষে এ পর্যন্ত ১৮টি ম্যাচ খেলেছে এশিয় দেশগুলো। যার কোনোটিতেই জয় ছিল না এশিয়ার দেশগুলো। তবে এবার ইতিহাস গড়েছে জাপান। প্রথম এশীয় দেশ হিসেবে দক্ষিণ আমেরিকার কোনো দেশের বিপক্ষে জয় পেল সামুরাইরা।

গত বিশ্বকাপে এই এই কলম্বিয়ার কাছে হেরেই আসর শেষ করেছিল জাপান। গত আসরে যেখানে শেষ করেছিল এবার সেখান থেকেই শুরু করলো জাপান। মঙ্গলবার ‘এইচ’ গ্রুপের ম্যাচে সামুরাইদের প্রতিপক্ষ ছিল কলম্বিয়া। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়লো জাপান।

ঐতিহাসিক ম্যাচের শুরুটাও হয় ঐতিহাসিকভাবে। মাত্র ৩ মিনিটের মধ্যেই দশজনের দলে পরিণত হয় কলম্বিয়া। বিশ্বকাপ ইতিহাসের দ্বিতীয় দ্রুততম লালকার্ড দেখেন কার্লোস সানচেজ। দশজনের কলম্বিয়াকে ম্যাচে আর মাথা তুলে দাঁড়াতে দেয়নি জাপান। ষষ্ঠ মিনিটে এগিয়ে যাওয়া জাপানকে চমকে দিয়ে ৩৯ মিনিটে গোল পরিশোধ করে কলম্বিয়া। ৭৩ মিনিটে দ্বিতীয় গোল করে ইতিহাস সৃষ্টি করে এশিয়ার দলটি।

২৪ জুন নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে সেনেগালের বিপক্ষে নামবে জাপান। অন্যদিকে একই দিন দিনের অপর ম্যাচে পোলান্ডের বিপক্ষে খেলবে কলম্বিয়া।