তেল সরবরাহ বন্ধের ঘোষণায় পাম্পে গ্রাহকের ভিড়

:
: ১০ মাস আগে

তিন দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়ার প্রেক্ষিতে মালিক সমিতি কর্তৃক তেল উত্তোলন ও সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণায় রাজধানীর রিফুয়েলিং স্টেশনগুলোতে ভিড় করছেন গ্রাহকরা।

শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) আসাদগেটের তালুকদার ফিলিং স্টেশনে তেল সংগ্রহ করতে মোটরসাইকেল ও ব্যক্তিগত গাড়ির ব্যাপক ভিড় দেখা যায়।

কথা হয় তেল নিতে আসা মো. রাহাতের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুনলাম কাল থেকে নাকি পাম্পে তেল থাকবে না। তাই আগেভাগে এসে তেল ভরে নিচ্ছি।

 

আরেক গ্রাহক শিপন মাহমুদ বলেন, হঠাৎ শুনলাম যে, পেট্রোল পাম্পে নাকি তেল সরবরাহ বন্ধ করা হবে। তাই তেল নেওয়ার জন্য এসেছি।

পেশায় পাঠাও চালক মনিরুজ্জামান বলেন, সত্যি সত্যি পাম্পে তেল সাপ্লাই বন্ধ হয়ে গেলে তো বিপদে পড়বো। তাই ট্যাংকি ফুল করে নিচ্ছি।

এদিকে গ্রাহকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়ালেও মালিক সমিতির একাংশের পক্ষে আজ সন্ধ্যায় জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পাম্পে তেল সরবরাহ স্বাভাবিক থাকবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।

মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ডিলার্স ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ নাজমুল হকের নেতৃত্বে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. হারুন অর রশিদ, মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, যুগ্ম-মহাসচিব মীর আহসান উদ্দিন পারভেজ, সাংগঠনিক সম্পাদক জায়েদ আহমেদ তপনসহ বাংলাদেশ ট্যাংক লরি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ ট্যাংক লরি শ্রমিক ফেডারেশনের নেতাদের উপস্থিতিতে গত ২৯ তারিখ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর সভাপতিত্বে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সব দাবি দাওয়া বাস্তবায়নে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আগামী ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সকল প্রকার দাবি-দাওয়া পূরণের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে আশ্বস্ত করা হয়।

অতএব, ওই সময়ের মধ্যে সব ডিপো থেকে তেল উত্তোলন স্বাভাবিক রাখার জন্য সবার সহযোগিতা একান্তভাবে কামনা করছি।

এ প্রসঙ্গে জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মীর আসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, মূলত পেট্রোল পাম্প সমিতির দুটো ভাগ আছে। যে অংশটি বড়, তারা তেল উত্তোলন স্বাভাবিক রাখবে। সুতরাং পেট্রোল পাম্পে তেল সরবরাহে কোনো বিঘ্নতা ঘটবে না।